জসিম উদ্দীন হলে ‘শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু: অর্ধশতে বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন


Dhaka | Published: 2022-03-31 02:57:44 BdST | Updated: 2024-05-17 07:21:59 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু: অর্ধশতে বাংলাদেশ’ শীর্ষক বক্তৃতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ বলেন, ছাত্রলীগ তারাই করে যারা ভাল ছাত্র এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে। বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বই যে ছাত্র অধ্যয়ণ করবে তার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে। যা তাকে ভাল মানুষ হতে সাহায্য করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল হাসান, দ্বিতীয় আরবি বিভাগের তাজিনুর রহমান এবং তৃতীয় হয়েছেন বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের রাগীব আনজুম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, আজকে আমরা মার্চ মাসে দাঁড়িয়ে স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে। শুধু মাত্র বাংলার মানুষের অধিকার চাওয়ার কারণে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানিরা এই বাংলাকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিল। বিদেশি শাসনের জাঁতাকলে এই ভুখণ্ড বার বার নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত হয়েছে। সে জায়গায় বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খাবে। বাংলাদেশ এর প্রতিটি শ্রেণি পেশার মানুষেরা শিক্ষার অধিকার পাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আদর্শের রাজনীতি করে। জিয়াউর রহমান ছাত্রদের হাত থেকে কলম কেড়ে নিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজকে অছাত্রের সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সূত্রোয় গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা যায় না। আবার বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস রচনা করতে গেলেও বাংলাদেশ বাদ দেওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ আষ্টেপৃষ্টে জড়িত।

সঞ্চালনা করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান।