যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে


Desk report | Published: 2023-08-18 15:37:35 BdST | Updated: 2024-05-03 21:32:39 BdST

যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগ এনে মো. তরিকুল ইসলাম রাহুল নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন তার স্ত্রী। সোমবার রাজধানীর ভাটার থানায় ওই তরুণী জিডি করেন। তবে ছাত্রলীগ নেতা বিষয়টিকে বানোয়াট বলে দাবি করছেন। তিনি বলছেন, ওই তরুণীর সঙ্গে তার এখনো বিয়ে হয়নি। সূত্র জাগো নিউজ

অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী জিডিতে উল্লেখ করেন, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে তাকে বিয়ে করেন তরিকুল। তবে কোনো ধরনের উপার্জন না থাকায় তাদের সংসারে বিবাদ লেগেই থাকতো। এদিকে বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। কিছুদিন আগে সেতু নামে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে দাওয়াতের কথা বলে সেখানে নিয়ে সবার সামনে স্ত্রীকে মারধর করেন তরিকুল। এসময় ওই বান্ধবীও মারধর করেন। পরে স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তরিকুল। গত তিন মাস ধরে তিনি স্ত্রীর কোনো খোঁজ নেন না। অন্য মোবাইল নম্বর দিয়ে কল করলে স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন তরিকুল।

অভিযোগের বিষয়ে তরিকুল ইসলাম রাহুল বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট। ওই মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা হয়েছে ফ্যামিলির মাধ্যমে। ওর ফ্যামিলি, আমার ফ্যামিলি সবাই জানে বিষয়টা। আমরা শুধু আংটি পরিয়ে রেখেছি।

কাবিননামার বিষয়ে তিনি বলেন, তার (মেয়ে) সঙ্গে আমার একটু ঝগড়া হয়েছে। এজন্য তারা মিথ্যা কাবিননামা বানিয়েছে। আমি অল্প বয়সী ছেলে, ২০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করা কি সম্ভব?

তরিকুলের এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই তরুণী জিডিতে করা সব অভিযোগ সত্য বলে দাবি করেন।

অভিযোগটি তদন্ত করছেন ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. শাহরিয়ার জালাল। তিনি বলেন, তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগেও নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি তরিকুল ইসলামকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। তবে বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া না হলেও তিনি মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পান। তার নামে ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ রাজধানীর দারুস সালাম থানায় হত্যাচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে বাঙলা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে গাছকাটা, চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।