তারেক রহমানের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কুবি ছাত্রলীগের


Desk report | Published: 2023-08-22 03:28:04 BdST | Updated: 2024-05-04 02:01:08 BdST

শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ পালন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের বিদ্যমান তিন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২১ আগস্ট) পৃথক সময়ে তারা এসব কর্মসূচি পালন করেন।

গ্রুপ তিনটির একটির নেতৃত্বে রয়েছেন নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের সভাপতি ইশরাত জাহান জেরিন, কাজী নজরুল ইসলাম হলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশ, আরেক গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন ২০১৭ সালের বিলুপ্ত শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী। অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাৎ মো. সায়েম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) তাহারা তবির হোসেন পাপন মিয়াজী।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। এসময় জেরিন-পলাশ নেতৃত্ত্বাধীন নেতাকর্মীরা ‘জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘গুটিবাজি করিস নারে, পিঠের চামড়া থাকবে নারে’, তারেকের দুইগালে, জুতা মারো তালে তালে,’ ইত্যাদি স্লোগান দেন দিতে দেখা যায় তাদের। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে গ্রুপগুলো।

এদিকে ছাত্র সমাবেশের বিষয়ে ২০১৭ সালের বিলুপ্ত শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী বলেন, জনতা সেদিন মানবঢাল নির্মাণ করে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিল বলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন। আজকের এই ছাত্র সমাবেশে ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আমরা আহ্বান জানাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক খুনি তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। যতদিন না এই তারেক জিয়ার রায় কার্যকর করা হবে ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে না।

এদিকে সন্ধ্যা ৭টায় জেরিন-পলাশ নেতৃত্ত্বাধীন গ্রুপের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন এবং রাজনৈতিক সংগ্রাম কেন্দ্রিক প্রামাণ্য চিত্র "হাসিনা; এ ডটার'স টেল" মুক্তমঞ্চে প্রদর্শিত হবে। এদিকে কমিটিবিহীন সাড়ে ৫ মাস সময় পার করছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ফলে পদ প্রাপ্তিকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগে বিভক্তি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।