ঢাবির ৯ গেটে তালা দিল ছাত্রদল, ভেঙে দিল ছাত্রলীগ


DU Correspondent | Published: 2023-11-05 10:48:43 BdST | Updated: 2024-05-06 20:52:55 BdST

বিএনপি-জামায়াতের ঘোষিত অবরোধের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৯টি প্রবেশ গেটে তালা লাগিয়েছে ঢাবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রতিটি গেটে ‘দেশ রক্ষার অবরোধ সফল হোক’ এমন ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে তালা ভেঙে গেট খুলে দেয় ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তালা লাগানো গেটগুলো হলো- কার্জন হল গেট, পুষ্টি ইন্সটিটিউট গেট, কলাভবন মসজিদ গেট, আই ই আর গেট, চারুকলা গেট, সমাজ কল্যাণ ইন্সটিটিউট এর ২টি গেট, সাইন্স লাইব্রেরি গেট এবং কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের গেট।

রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকর্মীরা গেটে তালা লাগায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের নেতা খন্দকার আনিসুর রহমান অনিক। তিনি ডাকসুতে ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী ছিলেন।

তালা লাগানোর খবর পেয়ে তা ভেঙে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের জন্য গেট খুলে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা।

এদিকে ঢাবির কার্জন হল গেট এবং চারুকলা অনুষদের গেটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসংবলিত ‘অবরোধ, অবরোধ, অবরোধ, রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত- লেখা একটি ব্যানার দেখা যায়। এছাড়া অন্য গেটগুলোতে অবরোধ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল লেখা ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়।

ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, দেশ বাঁচানো, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলও এই কর্মসূচি পালন করছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশ রক্ষার এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কিছু আওয়ামীপন্থী শিক্ষক জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছেন। তাই শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল তালা দেওয়ার কর্মসূচি পালন করে।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ছাত্রদলের সাহস নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে প্রবেশ করার। তারা ১০ জন নেতাকর্মী নিয়েও ক্যাম্পাসে প্রবেশের সাহস রাখে না। ২৮ অক্টোবরের পরে তাদের নেতাকর্মীরা আর বের হবার সাহসও পাচ্ছে না। তারা শুধু পারে গভীর রাতে বা ভোরে যখন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকে না এমন সময় প্রবেশ করে শিক্ষার্থী বিরোধী কাজ করতে। তারা অবরোধ ডেকেও মাঠে আন্দোলনে নামতে পারে না।