ঢাবি শিক্ষার্থী সোহাদ জানতেন সাঁতার, ছিলেন প্রেসিডেন্ট স্কাউটও


DU Correspondent | Published: 2024-04-22 20:40:26 BdST | Updated: 2024-05-03 23:44:11 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলের পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী মো. সোহাদ হক ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান। তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট স্কাউট, জানতেন ভালো সাঁতারও। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের সিনিয়র রোভার মেট (যোগাযোগ) আহসান উল্লাহ।

তিনি বলেন, স্কুল পর্যায়ের স্কাউটদের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির জন্য চারটি পর্যায়ে বাধ্যতামূলক সাঁতার পরীক্ষা দিতে হয়। এসব বিষয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরই একজন স্কাউটকে প্রেসিডেন্টস স্কাউট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। সোহাদ ২০১৭ সালে বগুড়া জিলা স্কুল থেকে এ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।

সে ক্ষেত্রে সাঁতার না জানলে এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করা হয় না। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের সহচর হিসেবে ২০২৩-এ যোগদান করেন। গত একুশে ফেব্রুয়ারিতেও তিনি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে সোহাদের মরদেহ এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা আছে। তার পরিবারের লোকজন জেলা শহর বগুড়া থেকে ঢাকায় আসছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান ও সোহাদের দুঃসম্পর্কের মামা।

সোহাদ হক বগুড়া জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং শাহ সুলতান কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ২০২২-২৩ সেশনে ভর্তি হন। তার ছোট বোন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সোহাদের হাপানি ছিল এমন তথ্য জানিয়েছে তার বন্ধুরা।

মরদেহের ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা আছে। তার পরিবারের লোকজন ঢাকায় আসছে। তারা এসে যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেভাবে ব্যবস্থা নেব। তারা যদি আইনি ব্যবস্থা নেয় তাহলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো অথবা তারা যদি মরদেহ নিয়ে যেতে চায় সেক্ষেত্রেও আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে গোসল করতে নেমে সাঁতার কাটার সময় ডুবে যান সোহাদ। তখন বন্ধুরা তাকে টেনে ওপরে তোলেন। তিনি বমি করে অচেতন হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান বন্ধুরা। এরপর দুপুর সোয়া ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।