জুম মিটিংয়ে সিঙ্গারার পয়সা কেন দিতে হবে, প্রশ্ন পরিকল্পনামন্ত্রীর


Dhaka | Published: 2020-08-14 03:17:58 BdST | Updated: 2024-05-19 02:55:00 BdST

বাড়তি বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় সম্মানী বা বাড়তি টাকা পেয়ে থাকেন। অনেক সময় খাবারের জন্যও তাদের টাকা দেয়া হয়। সম্মানী ও খাবার খরচ দেয়ার বিধান থাকায় এগুলো করা হয়। হঠাৎ করে এগুলো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে এসব বিধিবিধান সংশোধনের চিন্তাভাবনা চলছে। সংশোধন করে সম্মানী, খাবার বিল বাদ দেয়া হলে কিংবা সংকুচিত করা হলে তখন এগুলো বন্ধ করা যাবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ৩০টি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সাথে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক খরচ বন্ধে সচিবদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন মন্ত্রী।

এদিকে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক জুম মিটিংয়ে সিঙ্গারা বিল ধরা হয়। বাসায় থেকে অনলাইনে জুমের মাধ্যমে মিটিংয়ে অংশ নিয়ে খাবার বিল ধরায় তখন বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়। অবশ্য আইনে থাকায় সেই বিল পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা নেই। এ বিষয়টিও আজকের বৈঠকে আলোচিত হয়। ফলে এসব আইন সংশোধন করার চিন্তাভাবনা চলছে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, ‘আপনি বললেন, (সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা) সম্মানী পায় ইত্যাদি। বিভিন্ন জনের ভিন্ন মত থাকতে পারে। আমার নিজের একমত থাকতে পারে, এটা বিষয় না। উই আর ইন কালচার। এই কালচারে বিধিবিধানের অত্যধিক মূল্য আছে। বাড়তি কাজের জন্য, এক্সট্রা (অতিরিক্ত) কাজের জন্য, ঝুঁকির কাজের জন্য বাড়তি পেমেন্ট ইত্যাদি দেয়া হয়। এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, সারাবিশ্বেই কমবেশি আছে। যে সম্মানী বা বাড়তি টাকা দেয়া হয়, সেটার অনুমোদনও আছে, না হলে দিতে পারবে না। যদি অনুমোদনকেই প্রশ্ন করা হয় যে, এটা কেন হবে– তাহলে সেটা আলাদা প্রশ্ন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবার বলছি, এটা একটা জয়েন্ট এফোর্ট (সবার প্রচেষ্টা)। এতে নানা পর্যায়ের লোক কাজ করে। সরকার অতীতে তার কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। যেমন এখন জুম মিটিং করে। জুম তো আগে চিন্তাতেই ছিল না। জুম মিটিং করলাম তো, সিঙ্গারার পয়সা কেন দেব? জুমের মাধ্যমে কি সিঙ্গারা পাঠাবো! ভেরি ভেলিড (খুবই যৌক্তিক) প্রশ্ন, কিন্তু আইনে রয়েছে। বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে। রিভিশনের (সংশোধন) চিন্তাভাবনা চলছে। তবে পারসেন্টেজ নিয়ে আপনারা যে প্রশ্নগুলো তোলেন, আমরাও ওটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রীও উদ্বিগ্ন। তিনি বিভিন্ন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এগুলো নিয়ে আজকে আমরা আলাপ করেছি।’