"পলাশ ফুলের মৌ পিয়ে ওই, বউ-কথা-কও উঠল ডেকে, শিস দিয়ে যায় উদাস হাওয়া,নেবু ফুলের আতর মেখে"- কাজী নজরুল ইসলামের এ চার লাইনে পলাশের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে । আবার অনেক কবি পলাশের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে পলাশকে রোমান্টিক ফুল নামেও আখ্যায়িত করেছেন ।কৃষ্ণচূড়া রঙের মতো দেখতে এই ফুল সাইজে কিছুটা বড় হয় । বসন্তের শুরুতে যখন এ ফুল ফোটে, প্রকৃতিতে মনে হয় সবুজ বনে আগুন লেগেছে । পলাশের সৌন্দর্যে প্রকৃতি তখন সাজে নতুন রুপে । আর প্রকৃতির সাথে সাথে মেয়েরাও তখন সাজে সুন্দর করে । নারী আর ফুল যেন একে অপরের পরিপূরক । তাই তো দল বেঁধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নারীরা শাড়ির বেশে আকুল আবেদন জানাচ্ছে বসন্তের আগুনঝরা পলাশের সুভাস । ক্যামেরায় বন্দী করে নিচ্ছে পলাশের পরশের সাথে তাদের সুন্দর ও সুখকর মুহুর্ত গুলো । তারই জন্যে, তারা রঙ বেরঙের শাড়ি পরে পলাশ ফুল হাতে নিয়ে এবং পলাশ ফুলের মালা বানিয়ে মাথায়, হাতে দিয়ে ছবি তুলে । কি প্রাণবন্ত সেসব ছবি । এসব ছবি দেখেই প্রকৃতির মায়ায় পড়ে যাওয়া সম্ভব ।
নারী আর ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক।সারা ক্যাম্পাসে সৌন্দার্যের জানান দিচ্ছে যেন এক অপরুপ সাজে।
বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে আসা পলাশ অনেক মন খারাপের সমাধান । যতই মন খারাপ থাকুক না কেন, চোখের সামনে আগুনরাঙা পলাশ দেখলে সে মন ভালো হতে বাধ্য । তাই পলাশের গুরুত্ব অনেক বেশি । ছোট বড় সকলেই পলাশ ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ! তবে দিনদিন পলাশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে । আগে যেরকম চারিদিকে তাকালেই আগুনরাঙা পলাশ দেখা যেত, বর্তমানে তেমন দেখা যায় না । তিন চারটের বেশি পলাশ গাছই পাওয়া যায় না । আবার অনেকেই ছবি তোলার জন্য গাছ থেকে ফুল ছিড়ে ফেলে। যার ফলে প্রকৃতির সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে । কথায় আছে," গাছের ফুল গাছেই সুন্দর "। কিছু সুন্দর দূর থেকেই উপভোগ করতে হয় । তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে,আবেগের বশে যেনো প্রকৃতিকে নষ্ট না করি । বসন্তের আগমনী যে সৌন্দর্য, তা যেনো অক্ষুন্ন থাকে ।
জয়নাল আবেদীন,
শিক্ষার্থী,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।