রাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের কর্মসূচি স্থগিত


রাশেদুল ইসলাম রাজন | Published: 2017-08-07 16:33:29 BdST | Updated: 2024-05-18 18:27:57 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের আশ্বাসে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা সভাপতি প্রফেসর ড. নাসিমা জামানের অপসারণ দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করেছে। রোববার (০৬ আগস্ট) দুপুরে বিভাগের সকল শিক্ষককের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এর আগে সকল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে শিক্ষকরা।

লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভাগের বর্তমান সভাপতির পদত্যাগ ও সহকারী অধ্যাপক রুখসানা পারভীনের শাস্তির দাবী আন্দোলন করছি। তবে মাননীয় উপাচার্য আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন এবং সেই তদন্ত কমিটির দ্রুত রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। উপচার্যের এই আশ্বাসের ভিত্তিতে কর্মসূচির অংশ বিশেষ, বিশেষ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং অবস্থান কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করলাম। তবে আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে একাডেমিক কমিটি ও প্লানিং কমিটির মিটিং অংশগ্রহণ না করা এবং সভাপতিকে অসহযোগিতা করা অব্যহত থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিক পথে আন্দোলনের ধারা অব্যহত রাখবো ততদিন পর্যন্ত, যতদিন বিভাগের সভাপতির অপসারতি না হন এবং রুখসানা পারভীনের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত না হয়।

এর আগে রোববার সকাল ৯টা থেকে বিভাগের সামনে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারী ১১ জন শিক্ষক। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. আখতার ফারুককে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। কমিটির অন্যদুই সদস্য হলেন মাদার বখ্শ হলের প্রধ্যক্ষ প্রফেসর তাজুল ইসলাম ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের সভাপতি প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ।

এব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর আখতার ফারুক বলেন, ‘এখনো আনুষ্ঠানিক কোন চিঠি পায়নি। শুধু ভিসি স্যার ফোন করে আমাকে জানিয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত জুলাই এর ৩০ তারিখে বিভাগের ১১ জন শিক্ষক মেছা. রুখসানা পারভীনের বিরুদ্ধে শ্রেণী কক্ষে একাধিক শিক্ষক সম্পর্কে অপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে তলাবি সভার আহ্বান করে। কিন্তু সভাপতি প্রফেসর নাসিমা জামান প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের দোহায় দিয়ে সভা বাতিল করে। ঠিক পরদিন ৩১ জুলাাই রুখসানা পারভীন বিভাগের কতিপয় অন্যায়কারী শিক্ষক কর্তৃক মানসিক নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে ভিসি বরাবর একটি অভিযোগ দেন। সেখানে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এরপর ১১জন শিক্ষক ২ আগস্ট তারিখে ৭টি কারণ উল্লেখপূর্বক সভাপতির প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে চিঠিদেন।

এর ঠিক পরদিন সভাপতি ও রুখসানা পারভীন সাংবাদিকদের ডেকে রুখসানার সুপারভাইজার শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এরপর গত শুক্রবার ১১জন শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করে যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার ও সভাপতিকে অপসারণের দাবী করেন।

টিআর/ ০৭ আগস্ট ২০১৭