ঢাবি এফবিএস ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল


ঢাবি টাইমস | Published: 2017-08-08 01:19:29 BdST | Updated: 2024-05-18 20:18:47 BdST

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে গভীর রাতে কর্মচারীদের ব্লকে আপত্তিকর অবস্থায় উপস্থিত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কবি জসীমউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ রহমত উল্লাহ স্বাক্ষরিত তদন্ত রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ই জুলাই হলের এক কর্মচারীর মেয়েকে পড়িয়ে আসার পথে হলের কিছু ছাত্র এসে বোরহান উদ্দিনের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তারা অভিযোগ করেন, বোরহানকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। যদিও তাৎক্ষনিক ভাবেই মোঃ বোরহানউদ্দিন এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এছাড়া মেয়েটির বাবাও এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন। তিনি জানান তার মেয়েক পড়িয়ে বোরহান চলে যাওয়ার পথেই কিছু ছাত্র এসে তার সাথে তর্ক শুরু করে।

এই ঘটনায় হল প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটিত করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মোঃ বোরহানউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয় নি। হল প্রশাসন বলছে, এই মিথ্যা অভিযোগের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোঃ বোরহানউদ্দিন বলেন, "মূলত আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্যেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ঘটনাটি পূর্ব-পরিকল্পিত এবং সাজানো। এই ঘটনার পেছনে সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত কাজ করছে বলে আমার বিশ্বাস।"

তিনি আরো বলেন, "তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে আমি নির্দোষ কিন্তু আমার যে মানহানি হয়েছে এই মিথ্যে অভিযোগে এর দায়ভার কে নেবে? আমি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবো। এছাড়া বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লেখা হয়েছে আমাকে নাকি মেরে হল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমি এই সংবাদগুলোর প্রতিবাদ জানাই।"

উল্লেখ্য, কবি জসিম উদ্দিন হলে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভায় স্টাফ কোয়ার্টার খালি করার জন্য প্রকাশে দাবি তোলা হয়েছিল। সেখানে ছিলেন হলের বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, "স্টাফ কোয়ার্টারটা খালি করার জন্য প্রচুর চাপ আসছে। তার মধ্যে এই ঘটনার পর আমরা চিন্তিত। হয়ত এটি কোয়ার্টার দখলের ষড়যন্ত্রও হতে পারে।"

কবি জসীমউদ্দিন হল ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ এবং গ্রুপিং এইরকম পরিস্থিতির কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এক শিক্ষার্থী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কবি জসীমউদ্দিন হলের এই শিক্ষার্থী বলেন, "ছাত্রলীগ জাতির পিতার আদর্শে বিশ্বাসী কিন্তু এখনকার গ্রুপিং রাজনীতির কারণে অনেকাংশেই এই আদর্শ তারা নিজেরাই রক্ষা করতে পারছেন না। বোরহানের মতো সৎ ও আদর্শিক চর্চা করা, বিতর্ক করা সৃজনশীল ছেলের বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ আমাদের জন্য অশনিসংকেত। তাকে হল থেকে বের করে দিলে কার লাভ হয় জানতে চাই? মিডিয়া কেনো আপত্তিকর শিরোনামে তাকে অপদস্থ করলো সেটারও জবাব চাই।"

কবি জসীমউদ্দিন হলের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এবছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগের নিয়মিত কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় কবি জসীমউদ্দীন হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। ৬ ই মার্চে হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে দিবাগত রাতে জসীম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছিলো একজন।

কবি জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান বিরুদ্ধে হলে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের কাছেও চাঁদা দাবির অভিযোগও রয়েছে। হল ক্যান্টিনের মালিকের নিকট হতে চাঁদা দাবি করার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এমএসএল