আন্দোলনের মুখে শাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ


Sust | Published: 2020-03-13 00:05:57 BdST | Updated: 2024-05-18 19:54:00 BdST

চার দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের এক সপ্তাহের আন্দোলনের মুখে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বেগম পদত্যাগ করেছেন। একই সাথে বিভাগের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা থেকে সরে এসেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের আলোচনার সময় এ তথ্য জানান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবির মধ্যে দুটি দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বেগম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা মুহাম্মদ ওমর ফারুকও পদত্যাগ করেছেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে পরবর্তী ছাত্রউপদেষ্টা নিয়োগ, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ব্যাচের একাডেমিক কোনো কার্যক্রমের সাথে বর্তমান বিভাগীয় প্রধানের কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকা দাবি দুটি দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় পরবর্তীতে এসব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছি।

অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বেগম বলেন, আমি মনে করি সম্মানিত এই পদের দায়িত্বপালন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বৃহস্পতিবার সকালে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।

তবে এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত আমার কাছে পদত্যাগপত্র আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানের নৈশভোজে নির্ধারিত টোকেন ছাড়া খাবার সরবরাহ নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর ওপর নাখোশ হন সহযোগী অধ্যাপক মো. ওমর ফারুক। এরই প্রেক্ষিতে বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকদের সামনে ওই শিক্ষার্থীকে হুমকি দেন ড. শামছুন নাহার বেগমের স্বামী ও সিলেট এমসি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আলাউদ্দিন খান।

বিভাগের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে একজন বহিরাগত শিক্ষকের এ ধরনের আচরণের বিচার চেয়ে ২ মার্চ চার দফা দাবি উপস্থাপন করে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের তলব করলে তাদের সঙ্গে শিক্ষকদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এ ঘটনায় ৪ মার্চ থেকে বিভাগে কোনো কারণ ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় বিভাগ কর্তৃপক্ষ। পরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের প্রতিবাদ ও চার দফা দাবিতে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।