রাবিতে ব্যাংকে টাকা জমার দীর্ঘ লাইনে ভোগান্তি


RU Correspondent | Published: 2024-01-29 17:15:40 BdST | Updated: 2024-05-18 14:46:52 BdST

ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফি জমা দিতে হয় তাদের। অথচ টাকা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ডিজিটাল করলে শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি পোহাতে হত না।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের শাখা। এ ছাড়া, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি ফাস্ট ট্র‍্যাক জোনও রয়েছে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে। তবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকের শাখা বা জোন ক্যাম্পাসে থাকলেও কেবল অগ্রণী ব্যাংকেই ফরম পূরণ, হল ও বিভাগ সংক্রান্ত ফি পরিশোধ করা যায়। এতে অনেক সময়ই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের।

বিভিন্ন বর্ষের ভর্তির ক্ষেত্রে পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনেই সম্পন্ন হওয়ায় ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পরীক্ষার ফরম পূরণ, হলের সিগনেচার ফিসহ অন্যান্য খাতে টাকা পরিশোধ করার ক্ষেত্রে সরাসরি অগ্রণী ব্যাংকে গিয়ে কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফলে ভোগান্তি থেকেই যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেম আর উন্নত হলো না। আমাদের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার স্যার ৬৫তম ব্যাচের হল সমাপনীতে বক্তব্যে বলেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নাকি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ আমি আজ ১০২ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে জিয়া হলে গেলাম, সেখান থেকে এসে অগ্রণী ব্যাংকে জ্বর নিয়েই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দুই ঘণ্টায় হলের ফি দিলাম। তারপর ফরম ফিলাপ করে ডিপার্টমেন্টে যাওয়া, সেখান থেকে আবার হল, যা ছাত্রদের জন্য দুর্বিষহ। এমন কোনো শিক্ষার্থী নেই যে বলতে পারবে এক দিনে সকল কাজ শেষ করতে পেরেছে।

তিনি আরও বলেন, হলের কাজ শুনলেই সবাই বলে দুই দিন লাগবে। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল হলো কীভাবে? আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর প্রতিকার চাই। এই সিস্টেম ডিজিটাল করা হলে আমরা ঘরে বসেই ফোনে সব কাজ করতে পারব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল আলম তন্ময় বলেন, রাবিতে যখন ভর্তি হয়েছি তখন অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন ভবনে স্লিপ নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছি, যা আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টদায়ক।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা অলরেডি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বলেছি, যাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি না হয়। শিক্ষার্থীদের দাঁড়ানোর জন্য তাদের বাড়তি জায়গাও নিতে বলেছি। এ ছাড়া বাকি দুটি ব্যাংকের সঙ্গেও কথা বলেছি। আশা করি শিক্ষার্থীরা বাকি দুটি ব্যাংক থেকে খুব দ্রুতই সেবা নিতে পারবে।

ডিজিটালাইজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমাদের সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে তাদের সেবা নিতে পারবে।