এ মাসেই পূরণ হচ্ছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৮ শূন্য পদ?


Dhaka | Published: 2020-11-13 03:36:04 BdST | Updated: 2024-05-18 14:28:00 BdST

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩৩ নেতাকর্মীকে নানা অভিযোগ ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কার্যক্রমের কারণে বহিষ্কার করা হয় নানা সময়। এর বাইরে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ সহ ১৫টি শূন্য পদ রয়েছে।

দীর্ঘদিন শূন্য হয়ে থাকা এসব পদ পূরণ হতে যাচ্ছে চলতি মাসে। এ মাসের ২০ তারিখের আগেই এসব পদ পূরণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সংগঠনে দক্ষ নেতৃত্ব নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু করোনাকালীন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য সবকিছু থমকে গিয়েছিলো। যার কারণে আমরা আমাদের সংগঠনের শূন্য পদগুলো পূরণ করতে পারিনি। করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এখন আমরা শূন্য পদগুলো পূরণ করা চেষ্টা করছি। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই আমরা কমিটি দিতে পারবো বলে আশা করছি।

শূন্য পদে কাদের রাখা হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এখানে বিতর্কিত, অনুপ্রবেশকারী, সাম্প্রদায়িক মনোভাব সম্পন্ন, ছাত্রদল-শিবির, মাদকাসক্ত, গুরুতর মামলার আসামীদের স্থান ছাত্রলীগ নয়। আমরা দক্ষ, পরিশ্রমী ও যোগ্য ও মাঠে থাকা কর্মীদের নেতা হিসেবে মূল্যায়ন করবো।

দীর্ঘদিন ধরে শূণ্যপদ পূরণ করার দাবি জানিয়ে আসছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। কিন্তু নানা অজুহাতে এসব শূণ্য পদ পূরণে গড়িমসি করার অভিযোগ তুলে আসছে পদবঞ্চিতরা। এ বিষয়ে পদবঞ্চিতদের মুখপাত্র ও ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা এর আগে একাধিকবার বলেছেন, শূন্য পদগুলো পূরণ করা হবে। কিন্তু তারা তাদের কথা রাখেন নি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বোঝা যাচ্ছে, শূন্য পদগুলো পূরণ হবে। যেহেতু এটা অনেক আগের হওয়ার দরকার ছিলো কিন্তু হয়নি, তাই এটা হবে মন্দের ভালো।

ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আল নাহিয়ান খান জয়ের সহ-সভাপতি পদ, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ খালি রয়েছে। এর বাইরে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বহিষ্কার করা হয় ২১ জন পদপ্রাপ্তকে। এছাড়া ১১ জন স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। বহিষ্কার হওয়া পদপ্রাপ্তরা হচ্ছেন সহ-সভাপতি তানজিল ভূঁইয়া, আরেফিন সিদ্দিক, আতিকুর রহমান খান, বরকত হোসেন হাওলাদার, শাহরিয়ার কবির, সাদিক খান, সোহানী হাসান, মুনমুন নাহার, আবু সাঈদ, রুহুল আমিন, রাকিব উদ্দিন, সোহেল রানা, ইসমাইল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাজ উদ্দীন, উপদপ্তর সম্পাদক মমিন শাহরিয়ার ও মাহমুদ আবদুল্লাহ বিন মুন্সী, সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-সম্পাদক বি এম লিপি আক্তার ও আফরিন লাবণী, সহ-সম্পাদক সামিয়া সরকার ও রনি চৌধুরী।

এর বাইরে স্বেচ্ছায় সহ-সভাপতি এস এম তৌফিকুল হাসান, আমিনুল ইসলাম, বি এম শাহরিয়ার হাসান, হাফিজুর রহমান, এস এম হাসান আতিক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার ফেরদৌস, স্বাস্থ্যবিষয়ক উপ-সম্পাদক রাতুল সিকদার ও শাফিউল সাজীব, উপ-প্রচার সম্পাদক সিজাদ আরেফিন, পাঠাগার বিষয়ক উপ-সম্পাদক রুশী চৌধুরী এবং সহ-সম্পাদক আঞ্জুমানারা অনু অব্যাহতি নেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে বহিষ্কার করা হয়।

এর বাইরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় সহ-সভাপতি পদে ইশরাত কাশফিয়া ইরা, সুরঞ্জন ঘোষ, ফাহাদ হোসেন তপু, চাকরিতে যোগদান করায় তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম, উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নাজমুস সাকিব, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তৌকির আহম্মেদ তপু, সহ-সম্পাদক পদে সাঈদ খান শাওনসহ, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিপু ইসলাম তন্বী ও যুবলীগে যোগদান করায় তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে শাকিল আহম্মেদ জুয়েল বাবুকে অব্যাহতি দেয়া হবে।

ইত্তেফাক