মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেত্রী: শাস্তি পায়নি অভিযুক্তরা


Dhaka//jagonews24 | Published: 2020-12-27 20:40:00 BdST | Updated: 2024-05-21 07:56:55 BdST

ছাত্রলীগের সিনিয়র দুই নেত্রীর মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বী হাসপাতালে ভর্তি আছেন ছয়দিন ধরে। হাসপাতাল থেকে তাকে বের হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তার ওপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।

গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি ও শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জেসমিন শান্তা রোকেয়া হল সংসদের এজিএস ফাল্গুনী দাস তন্বীকে বেদম মারধর করেন। এরপর তাকে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে আহত ছাত্রলীগ নেত্রীকে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ আজ (শনিবার) ডাক্তার এসে আমাকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করে আজকের (শনিবার) মধ্যে রিলিজ দিয়ে দেয়ার কথা বলে। ডাক্তারের কথা শুনে আমি চমকিত হই। কীভাবে একজন ডাক্তার আমার সাথে কথা না বলে ছাড়পত্র দেয়ার কথা বলেন? এখানে অবশ্যই কেউ না কেউ হাসপাতাল থেকে আমাকে বের করে দেয়ার প্রেসার দিচ্ছে। আমি এখনো শক্ত খাবার খেতে পারছি না। আমাকে সারাক্ষণ স্যালাইন ও তরল খাবার খেতে হচ্ছে।

ছাত্রলীগের এই নেত্রী আরও বলেন, আমি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিচার পাওয়ার আশা করছিলাম। নেতারা আমাকে তিনদিন পর গতকাল দেখে গেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস পর্যন্ত দেয়নি। এতে আমি খুবই হতাশ হয়েছি। এখন মামলা করা ছাড়া আমার আর কোনো পথ নেই।

এ ঘটনার বিচার নিশ্চিত হবে বলে গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানালেও পরে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ফোন ধরেননি।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানিয়েছি। যদি তারা ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সামনে আমরা বিচারের ব্যাপারে কঠোর হবো।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম বলেন, সংগঠনের ভেতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা সাংগঠনিক নিয়মবহির্ভূত কাজ। এ ধরনের বিশৃঙ্খলা হলে তা কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কেন কোনো ব্যবস্থা নেননি সে বিষয়ে আমরা সন্দিহান। আমরা আশা করবো, অতিদ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।