ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাবির নেতাকর্মীরা


ঢাকা | Published: 2021-01-21 20:41:41 BdST | Updated: 2024-05-17 23:23:49 BdST

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং তাদের কাছের লোক ছাড়া প্রায় সবাই হতাশ বিভিন্ন কারণে, রয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের পদপ্রত্যাশীরা হতাশার চরম মাত্রায় অবস্থান করছেন। এমনকি তাদের ক্যারিয়ার গড়ার সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তথাপিও হচ্ছে না হল কমিটি।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করলে পদবঞ্চিতরা কমিটিতে বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করে তারা। এরপর ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিতর্কিত ৩২ নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হলেও শূন্যপদ পূরণ করতে পারেননি জয়-লেখক। এ নিয়ে পদপ্রত্যাশীরা হতাশার মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিতর্কমুক্ত ছাত্রলীগ আন্দোলনের মুখপাত্র ও সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জয়-লেখক শূন্যপদ পূরণে লাগাতার মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। তারা শূন্যপদ পূরণে ব্যর্থ। এ নিয়ে আমরা পদপ্রত্যাশীরা চরম অসন্তোষ ও হতাশার মধ্যে আছি।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ফোনে পাওয়া গেলেও সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে পাওয়া যায়নি। তিনি ‘সাংবাদিকদের ফোন ধরেন না’ বলেও জানা গেছে। লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘শূন্যপদ পূরণের কাজ শেষের দিকে। দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো।’

ছাত্রলীগের ঢাবি ইউনিটের বর্তমান কমিটির মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই শেষ হয়। দেড় বছর হয়ে গেলেও হল-কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়েছে সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। এ নিয়ে হল-কমিটির পদপ্রার্থীদের মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘মেয়াদের বিষয়টি রাজনৈতিক প্রথাগত এবং গঠনতান্ত্রিক বিষয়। ঢাবির ছাত্র রাজনীতির প্রাণ হচ্ছে হল-কমিটি। করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাটা হল-কমিটি না হওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন তারুণ্যদ্বীপ্ত নেতৃত্ব উপহার দিতে পারবো।’

এদিকে করোনাকালীন সময় ও তার আগে মূল প্রোগ্রাম করা ছাড়া বাকি সময় গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের অবস্থান করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সুঞ্জিত চন্দ্র দাস। তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বিভিন্ন সভায় সাংবাদিকদের বলেছেন "ঢাকায় থাকার মত তার ব্যবস্থা নেই। তাই তিনি গ্রামে থাকছেন"।

এরকম সংকটের কথা জানতে পারলে তিনি ঢাকায় আসলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির অফিসে পার্টির পক্ষ থেকে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

ছাত্র রাজনীতিতে সময় দিতে দিতে অধিকাংশেরই একাডেমিক জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং অনেকেই চাকরির পড়াশোনা করছেন না ফলে দিন দিন তাদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা এবং দুশ্চিন্তা। পরিবার ও সমাজ থেকে বাড়ছে চাপ।

সংবাদটি বাংলা ট্রিবিউন থেকে সম্পাদিত