অতিসত্বর ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন দাবি


ঢাকা | Published: 2021-02-03 21:05:19 BdST | Updated: 2024-05-21 12:58:01 BdST

অতিসত্বর ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিল দাবি করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবিব এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আব্দুল্লাহ বিন মুন্সী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উজ্জল নামে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা।

আজ বুধবার বেলা ১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি উত্থাপন করেন।

এছাড়াও তাদের কেন অব্যহতি দেয়া হয়েছে? অব্যহতি দেয়ার আগে  কেন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়নি? এরকম আরও একাধিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন তারা....

এদিকে সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পদে নতুন ৬৮ নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে , তাদের অনেককে নিয়ে নানান ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে এবং তাদেরকে নিয়েও বিতর্ক আছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন এই তিন নেতা।

সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে সাংবাদিক সমিতির নিচে ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের আরও একাধিক নেতাকর্মীকে দেখা গেছে।

প্রেস রিলিজঃ

("বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে বিতর্কমুক্ত ও শুদ্ধিকরণের নামে চলমান অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন")

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নিজ হাতে গড়া, শিক্ষা শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ৭৩ বছরের বর্ণিল যাত্রায় বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতিটি সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
১১-১২ মে, ২০১৮ তে অনুষ্ঠিত ২৯ তম সম্মেলনের মাধ্যমে ৩১ জুলাই, ২০১৮ তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন যথাক্রমে জনাব রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং জনাব গোলাম রাব্বানী। ১৩মে, ২০১৯ তৎকালীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর স্বাক্ষরিত ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তৎপরবর্তীকালে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সভাপতি জনাব রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব গোলাম রাব্বানীর পদত্যাগ এর পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন যথাক্রমে জনাব আল-নাহিয়ান খান জয় এবং জনাব লেখক ভট্টাচার্য (দুজনই বর্তমানে পূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন)। দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এর স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে "আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায়" ২১ জনকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। যেখানে শুধুমাত্র নাম এবং পদের নাম উল্লেখ করা হয়। কোন অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হলো তার কোনো উল্লেখই ছিলো না। পাশাপাশি নিজ আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও ১১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

প্রদানকৃত অব্যাহতি প্রাপ্ত ২১ জনের ব্যাপারে আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার দাবি করা হলেও কোন কোন অভিযোগ এবং কিসের ভিত্তিতে সেইসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যা দায়িত্বশীল মহল থেকে আমাদের দেওয়া হয়নি। অব্যাহতি পাওয়ার পরবর্তীতে আমরা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো কারণ জানাতে পারেননি। এবং এই অব্যাহতির প্রেস বিজ্ঞপ্তির পেছনে অন্যমহলের চাপের কথা তাঁরা দাবি করেন। এই অন্যমহল বলতে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ এর সম্মানিত চার নেতৃবৃন্দকেই বুঝিয়েছেন বলে অনুমেয়। আমাদের ব্যাপারে আনীত অভিযোগের ব্যাপারেও তারা ওয়াকিবহাল না বলে জানান। আমরা মনে করি ২৯ তম সম্মেলনের পর দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরাসরি তত্ত্বাবধানে যে কমিটি হয়েছিলো তার মধ্য দিয়ে তথাকথিত একটি সিন্ডিকেট এর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই সিন্ডিকেটের লালসার স্বীকার হয়েই আমরা অব্যাহতি পাই। সিন্ডিকেটের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রলীগের পুনঃনিয়ন্ত্রণ এর চেষ্টার ফলেই আমাদেরকে ষড়যন্ত্র করে অব্যাহতি দেয়া হয় বলে আমরা মনে করি। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অব্যাহতি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন, "আমাদেরকে উপর মহল থেকে যে তালিকা দেয়া হয়েছে তা প্রকাশ করেছি"। এই উপরমহল কারা তার কোনো ব্যাখ্যা দেননি। তৎপরবর্তীকালে আমাদের অব্যাহতি সংক্রান্ত ইস্যুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সম্মানিত চার নেতা'র সাথে যোগাযোগ করতে বলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

আওয়ামী লীগ এর সম্মানিত চার নেতা'র কাছে আমাদের অব্যাহতির কারণ জানতে চাইলে তারাও যথোপযুক্ত কোনো উত্তর দিতে ব্যর্থ হোন। এই অব্যাহতি প্রদানের পূর্বে আমাদের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ থেকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ বা আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তলব করা হয়নি কেন জানতে চাইলে সম্মানিত নেতৃবৃন্দ যথোপযুক্ত তদন্ত এবং অচিরেই সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন। তারপর দিন, ক্ষণ, মাস শেষে বছরও পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। দায়িত্বশীলদের কাছে বারবার এই ব্যাপারে জানতে চেয়েও কালক্ষেপণ ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপই তাঁরা নেয়নি। বিভিন্ন অজুহাতে মিথ্যা আশ্বাসই দিয়ে গিয়েছেন।

প্রিয় বন্ধুগণ,
আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, এরই মধ্যে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর সভাপতি জনাব আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক জনাব লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৬৮টি শূন্যপদে নতুন করে ৬৮ জনকে পদায়ন করা হয়। ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ প্রকাশিত অব্যাহতির তালিকায় সর্বমোট ৩২টি পদ শূন্য করা হলেও ৬৮টি শূন্য পদ তৈরি করা হলো কোন প্রক্রিয়ায় এবং ৬৮জন কে পদায়ন করা হলো কিসের ভিত্তিতে। তার কোন ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়নি। এরই মাঝে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে (তাদের দাবি মতে) তৈরি করা শূন্যপদে আবার অসংখ্য বিতর্কিতদের পদায়ন করা হয়েছে। নতুন করে পদায়নকৃত এই ৬৮ জনের মধ্যে বয়সোত্তীর্ণ, মাদকসেবী, চাঁদাবাজির কারণে শাস্তিপ্রাপ্ত, বহিষ্কৃত, বিবাহিত, চাকুরিজীবী, মামলার আসামীসহ গঠনতন্ত্র বিরোধী অনেকেই রয়েছেন। এবং এইসব অভিযোগ সংক্রান্ত সকল প্রমাণাদি সাংবাদিক বন্ধুগণের কাছেও রয়েছে। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম এই মর্মে সংবাদ প্রকাশ করেছেন।

উপরোক্ত আলোচনায় যে প্রশ্নগুলো উদ্ভাবিত হয়;

- অব্যাহতি প্রাপ্ত ২১ জনকে কি কারণে অব্যাহতি দেওয়া হলো তা কেন জানানো হয়নি?
- কিসের ভিত্তিতে অব্যাহতি প্রাপ্তদের অভিযোগ (দৈবিক) প্রমাণিত হয়েছে?
- সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী অভিযোগ এর ব্যাপারে অভিযুক্তদেরকে কেন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়নি?
- সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী নির্বাহী সংসদ এর কোনো অধিবেশন ছাড়া কিভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো?
- বিগত ১ বছর ২ মাসেও বারবার অব্যাহতির কারণ জানতে চাইলেও দায়িত্বশীলরা কেন বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন?
- পুনঃতদন্তের আশ্বাস দিয়েও কেন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হলো না?
- অব্যাহতি প্রাপ্তদের ইস্যু সমাধান না করে কিভাবে সেই পদে নতুন করে পদায়ন করা হয়?
- নতুন করে পদায়নকৃতদের মধ্যে কিভাবে বিতর্কিত, সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্তরা স্থান পেলো?
- সম্প্রসারিত কমিটি না করে ৩০১ সদস্য কমিটির ভেতরেই পদোন্নতি দেয়া হলো কিভাবে?

- শুদ্ধি অভিযান ও বিতর্কমুক্ত ছাত্রলীগের অজুহাত দেখিয়ে বিতর্কিতদের পদায়ন করে প্রহসন কেন?

আমরা দেখেছি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নতুন পদায়ন করে দেওয়া কমিটিতে বিতর্কিতদের স্থান পাওয়া নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। কিভাবে বিতর্কমুক্ত করতে গিয়ে নতুন করে বিতর্কিতরা স্থান পেলো তার জবাবে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও প্রমাণ নেই। তাছাড়াও কমিটিতে স্থান পাওয়াদের পূর্বেও পদ ছিলো।" কিন্তু বাস্তব চিত্রটা ভিন্ন কমিটিতে ২-৩ জন প্রথমবারের মত কেন্দ্রীয় পদ পেয়ছেন। যা তাঁর বক্তব্যের বিপরীত। আর তাঁর দাবি মতে অভিযোগ থাকলেই বিতর্কিত না হলে আমাদেরও তো শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতেই অপরাধী বানানো হয়েছে।

আপনারা দেখে থাকবেন, বিতর্কিত তকমা দিয়ে দুঃসময়ের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে তার প্রতিস্থাপনে কতিপয় বিবাহিত, মাদকাসক্ত, বহিস্কৃত, বয়সোত্তীর্ণ ও মামলার আসামীদেরকে পদায়ন করা হয়েছে।

সার্বিক দিক বিবেচনায় আমরা এও দেখতে পাই যে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর পদধারী নেতারাই বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং দলীয় ফোরামে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে অবহেলার কথা বার বার প্রকাশ করেছে। তৃণমূলের ইউনিটগুলোতে কার্যক্রম গতিশীল না রাখা। সম্মেলন না করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েই কমিটি প্রদান করা। বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি করতে গিয়ে আর্থিক লেনদেনের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া। মধুর ক্যান্টিন ও পার্টি অফিসে অনিয়মিত হওয়া। কেন্দ্রীয় কমিটির পদধারীদের ফোন না ধরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর হলগুলোতে নেতৃত্বের সেশন জট। নির্বাহী সংসদের সমন্বয়হীনতা। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সর্বস্ব কার্যক্রম পরিচালনা। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব ভাগ করতে ব্যর্থ হওয়া। তথাকথিত মাই ম্যানদের কে বিভিন্ন ইস্যুতে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া। অদৃশ্য উপরমহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সর্বোপরি আমরা মনে করি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। এমতাবস্থায় সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি পুনরায় জাগ্রত করতে আমাদের আশার বাতিঘর, ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের আকুল আবেদন, অতিসত্বর নতুন সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্বে পরিবর্তন এনে ছাত্রলীগকে ঢেলে সাজাতে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আপনার যেন সুমর্জি হয়।

আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিক, দেশরত্ন শেখ হাসিনার কর্মী, ছাত্রলীগের কর্মী। অনৈতিকভাবে আমাদের সাথে কেন অবিচার করা হলো? আমরা আমাদের পদ ফেরত চাইতে আসিনি। দেশরত্ন শেখ হাসিনার কর্মী আমরা, এটাই আমাদের বড় পরিচয়। সংগঠনের একজন পরিশ্রমী কর্মী হিসেবে আমরা চাই চলমান অপরাজনীতি বন্ধ হোক। গঠনতন্ত্রকে তোয়াক্কা না করে ব্যক্তি মর্জির উপর ভিত্তি করে সংগঠন চলতে পারে না। আমরা আমাদের আশার বাতিঘর, আস্থার শেষ ঠিকানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা একটি মহলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও লালসার শিকার। এবং এই মহলটি প্রকৃত বিতর্কিতদের রক্ষা করতে বিতর্কিতদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বঙ্গবন্ধু ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শিক কর্মীদের বলি দিয়ে যে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে তা প্রকৃতার্থে নেত্রীর সাথে প্রতারণার শামিল। তবে অতীত ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, নেত্রী যখন যাদেরকেই ছাত্রলীগের দায়িত্বে নিয়োজিত করেছেন তারাই নিজেদের স্বার্থে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করেছেন। আমরা এইসব প্রহসনের অবসান চাই। অতিসত্বর ছাত্রলীগের ৩০ তম সম্মেলন চাই।

ধন্যবাদান্তে;

মোঃ আহসান হাবিব
সাবেক দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

মাহমুদ আবদুল্লাহ বিন মুন্সি
সাবেক দপ্তর বিষয়ক উপ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ