পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বেধড়ক মারের শিকার হওয়া মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম (২২) শনিবার বেলা ১১ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত রাকিবুলের মামা গাজী মোঃ মাইনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলামের (২২) ডান হাতের কব্জি কর্তন করে। রাকিবুলের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার জন্য একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো: সাইফুল ইসলাম ওরফে রায়হান পাহলানকে দায়ী করেন।
ঘটনার পরে রাকিবুল ইসলামের মামা গাজী মোঃ. মাইনুল ইসলাম জানান, রাকিবুল তেগাছিয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় হাজী মসজিদ সংলগ্ন জলকপাট এলাকায় রায়হান পাহলান, তার ছোট ভাই তরিকুল পাহলান, নবী হাসান, বাদশা খলিফা, জাকারিয়া জমাদ্দার, রুবেল সিকদার, মাসুম হাওলাদারসহ ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাকিবুলের ওপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা রাকিবুলকে বেদম মারধর করে মাটিতে ফেলে দিয়ে রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। এসময় সন্ত্রাসীরা রাকিবুলের ডান হাত টেনে নিয়ে একটি কাঠের ওপর রেখে রামদা দিয়ে কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। রামদার কোপে রাকিবুলের মাথা ও শরীরর বিভিন্ন অংশও গুরুতর জখম হয়।
এ ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনকে আসামী করে রাকিবুল ইসলামের মা রহিমা বেগম ২৯জুলাই রাতে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি মামুন হাওলাদার , খলিল হাওলাদার, নয়ন বয়াতি ও রুবেল শিকদারকে গ্রেপ্তার সহ উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনায় ব্যবহৃত দেশীয় ধারালো অস্ত্র।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনিও রাকিবুল ইসলাম এর মৃত্যুর কথা শুনেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেননি। ঘটনার মাস্টারমাইন্ড রুবেলসহ চার জন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।