ছাত্রলীগের বাইকের হুইসেলে ছাত্রদলের ছোটাছুটি, হামলার অভিযোগ


ঢাকা | Published: 2021-08-29 17:45:03 BdST | Updated: 2024-05-06 12:00:40 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যম্পাসে ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ছাত্রদলের অন্তত ৯ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রুমি ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রনিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল ১০টার দিকে প্রায় দেড়শ ছাত্রদল নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) দিকে যায়। যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ছাত্রদলের ব্যানারটি মিশুক মুনীর চত্বরে পুড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগ।

ছাত্রদল নেতাদের দাবি, ছাত্রলীগের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দিদার, হাজী মুহম্মদ মুহসিন হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মামুন, ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মাসুমসহ ৯ জন গুরুতর আহত হন। এর বাইরে আরও অনেকেরই শরীরে ইটের আঘাত লেগেছে। গুরুতর আহতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করার কথা জানান তাঁরা।

ছাত্রদলের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমরা আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করি। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রড, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমানসহ ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।’

হামলার বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘হামলার কোনো খবর আমি জানি না। কে বা কারা ক্যাম্পাসে তাদের ওপর হামলা করেছে আমার জানা নেই। তারা নিজেরা নিজেদের ওপর এ ঘটনা ঘটাতে পারে।’

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা মগবাজার থেকে দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করে ক্যাম্পাস দিয়ে যাওয়ার সময় এম্বুলেন্স অথবা ভিআইপি গাড়ির হুইসেল শুনে  তাদেরকে ছোটাছুটি করতে দেখেছি। ছাত্রদল ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপাতে চাচ্ছ।  যদিও এর সাথে ছাত্রলীগ কোনোভাবেই জড়িত নয়ভিআইপি হুইসেল শুনেই যারা মিছিল ফেলে পালায় তারা আবার আইছে জেল থেকে ছাত্রদলের সন্ত্রাসী ভাইদের মুক্ত করতে।সামনের সারির নেতারা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছে“সবাই ফিরে আসুন এটা পুলিশের গাড়ি নয় এটা এম্বুলেন্স” তারপরেও কেউ থামে না আরো যেন দৌড়ের গতি বেড়ে যায়।

লেখক বলেন, চোরের মন পুলিশ পুলিশ করে শুনেছি কিন্তু এম্বুলেন্সে কিসের ভয়? মনে হয় ভেবেছে এম্বুলেন্সে করোনা রোগী আছে। কিন্তু সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ছাত্রদলের চাচারা তো অনেক আগেই টিকা পাওয়ার কথা। নাকি খালেদা, ফকরুল, রিজভীর মতো ছাত্রমল কর্মীরা এই ভেজাল টিকা নেবে না? বারবার ছাত্রলীগের উপর দায় চাপাতে থাকলে পরে দেখা যাবে সংবাদ সম্মেলন করে কেন লাইভ ধোলাই খাইলেও মানুষকে বিশ্বাস করাতে পারবেন না।।"

এর আগে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রনিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার সারা দেশে এক দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি। এরই অংশ হিসেবে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে ঢাবি ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।