সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ আহবায়ক কমিটির আহবায়ক তজমুল হক রিপন তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার নিজের ইউনিয়ন খুরমা দক্ষিণ ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিকের পক্ষে নির্বাচন প্রচারণা করেছেন। এর ফলে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মছব্বির ফেইল করেন। তবুও এলাকায় কমেনি রিপনের দাপট। বিভিন্ন হামলা-মামলায় জড়িতদের শেল্টার দিয়ে বেড়াচ্ছেন এই নেতা।
জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন তার ছাত্রত্ব নেই এবং অবৈধ গরুর হাট বসিয়ে চাঁদাবাজি করেন উপজেলায়। অবৈধ গরুর হাট বসানোয় ২০২০ সালের জুলাই মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত তজমুল হক রিপনকে জরিমানা করে। এসব অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
সম্প্রতি ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তাকিম রায়হানের উপর যারা হামলা করেছে তাদের পৃষ্ঠপোষক এবং এই হামলার মদদদাতা তিনি বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন এবং সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীদের কমিটি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সবসময় চাপের মধ্যে রাখেন।
নেতা কর্মীরা বলছেন, একজন উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কীভাবে নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন এবং তার পক্ষে সমর্থন দিতে পারেন তা তাদের জানা নেই। এটি সংগঠনের জন্য লজ্জার ও আদর্শ বিরোধী কাজ। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ছাতক উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি ৩ মাসের জন্যে ঘোষণা করে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। কিন্তু নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদির তালুকদার, যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদ আহমদ চৌধুরী, জামায়েল আহমদ ফরহাদ, মিয়া মোহাম্মদ নাহিদ, জাবেদ আহমদ তালহা, ইমরান এইস বাপ্পী, ফখরুল হাসান জেনিস ও মোস্তাক আহমদ আহবায়ক কমিটিকে অবৈধ ও অগঠতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে ছাতক শহরে ছাত্রলীগের ঝাড়ু মিছিল দিয়ে ও সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন। আহবায়ক কমিটি গঠনের ৩ বছর পার হলেও উপজেলা সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ছাতক উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দাবি এই কমিটিকে বিলুপ্ত করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দেওয়া হোক।