ঢাবিতে গণরুম-গেস্টরুমে নির্যাতন বন্ধের দাবি


DU Correspondent | Published: 2023-10-02 18:01:03 BdST | Updated: 2024-05-04 12:19:12 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে গণরুম-গেস্টরুমে ছাত্রলীগের শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ, প্রথম বর্ষ থেকেই বৈধ সিট নিশ্চিত এবং সারাদেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাবি শাখার উদ্যোগে একটি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। সেখানেই এসব দাবি জানান বক্তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিক র‍্যাংকিংয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে, এর একমাত্র কারণ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীরা থাকার জন্য বৈধ সিট পায় না। ফলে গেস্টরুম-গণরুমে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কাছে তাদের নির্যাতিত হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীকে বাইরে থাকতে হয়। গেস্ট রুমের নির্যাতনের ফলে একজন শিক্ষার্থীর মানসিক সমস্যাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গণরুমে বসবাস করে, গেস্টরুম করে এবং এমন অখাদ্য খেয়ে দেশের মেধার বিকাশ সম্ভব না। গেস্টরুম-গণরুমের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীন বক্তব্য আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।

বক্তারা বলেন, প্রশাসন বাজেটের টাকায় মনুমেন্ট বানাচ্ছে কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। একটি রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি হলের গেস্টরুমে ম্যানার শেখানো হয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন- একজন শিক্ষার্থী ১৫ বছর ধরে পড়াশোনা করে আসছে তারা কি এত দিন ম্যানার শেখেনি?

এসময় বক্তারা প্রতিটি হলের গেস্টরুম ও গণরুম বন্ধ ও প্রথম বর্ষ থেকেই বৈধ সিট নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

সমাবেশে ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাবি শাখার সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিত জনশক্তি তৈরি করলেও ঢাবি একটি রাষ্ট্র তৈরি করেছে। কিন্তু, কষ্টের কথা হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থাকে বস্তির চেয়েও নিকৃষ্ট জায়গায়। তাদের খাবার বস্তির দরিদ্র মানুষের চেয়েও নিম্নমানের। গেস্টরুমে তাদের সঙ্গে দাসের মতো ব্যবহার করা হয়।

কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাহবুব নাহিয়ান বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পার হলেও সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি। মানুষের স্বাধীনতার জন্য যেই লড়াই চালিয়ে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল এখন সেই স্বাধীনতা নেই। সাধারণ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। এজন্য শুধু ঢাবি নয় সারাদেশের সকল ছাত্র জনতাকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আহসান মারজানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন, ঢাবি শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।