শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের এক জরুরি সভা হয়। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ওই সভায় শাবিপ্রবির ঘটনায় আহতদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। পাশাপাশি ওই ঘটনায় ভিসির পদত্যাগের দাবিকে নীতি বহির্ভূত উল্লেখ করা হয়।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমানের সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নীতি বর্হিভূতভাবে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে এখন ক্রমশ যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে তা দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চক্রান্তের অংশ বলেই প্রতিভাত হচ্ছে। সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব বলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ মনে করে।’
বৈঠকে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ছিলেন। শাবিপ্রবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী মহিলা হলের একজন প্রাধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের অনভিপ্রেত ঘটনার প্রেক্ষাপটে যারা আহত হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি আমরা সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। ইতোমধ্যে ওই হলে একজন নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হলেও উপাচার্যসহ তার পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখার মাধ্যমে যে জটিল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’