শাবিতে ছাত্রদের মিলপ্রতি ২ টাকা সরাচ্ছেন শাহপরান হলের প্রভোস্ট!


শাবি টাইমস | Published: 2017-12-02 16:38:58 BdST | Updated: 2024-05-17 09:21:32 BdST

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ডাইনিংয়ে মিলপ্রতি ২ টাকা হল প্রভোস্টের ফান্ডে সরিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। কোনো রশিদ ছাড়া ডাইনিং পরিচালক অনিল চন্দ্র সাহার কাছ থেকে হলের কর্মচারীর মাধ্যমে এ অর্থ আদায় করা হলেও বিষয়টি জানেন না হলের দায়িত্বে থাকা চার সহকারী প্রভোস্ট।

শুক্রবার দুপুরে টোকেন সিস্টেমের মাধ্যমে খাবার বিতরণ ও মিলপ্রতি ২ টাকা আদায় করতে দায়িত্ব দেয়া হয় হলের ইলেকট্রিশিয়ান আবদুল আজিজকে। এ সময় বিষয়টি শিক্ষার্থীদের নজরে এলে তারা প্রতিবাদ করেন।

হলের ইলেকট্রিশিয়ান ও ঝাড়–দার কেন ডায়নিংয়ে খাবারের টোকেন দিচ্ছে, তার কাজ করবে কে? এমন বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা জটলা পাকালে এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন সহকারী প্রভোস্ট আশিষ কুমার বণিক।

পরে তিনিসহ অন্য তিন সহকারী প্রভোস্ট কৌশিক সাহা, মোহাম্মদ জাবেদ কায়সার ইবনে রহমান ও মো. ফেরদৌস আলম টাকা সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি জানতেন না বলে জানান।

ডাইনিং পরিচালক অনিল চন্দ্র সাহা জানান, সেপ্টেম্বরে ডাইনিংয়ের দায়িত্ব নেয়ার তিন দিন পর থেকে প্রভোস্ট মোহাম্মদ শাহেদুল হোসাইন তার কাছ থেকে প্রতি মিল বাবদ ২ টাকা নিয়ে নিচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, হলে খাবারের মিলপ্রতি ২২ টাকা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়। কিন্তু প্রতি মিলে ২ টাকা হল প্রভোস্টের ফান্ডে দিতে হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রভোস্টকে টাকা না দিলে শুক্রবার থেকে হলের ইলেকট্রিশিয়ান এবং ঝাড়ুদারকে দিয়ে টোকেন সিস্টেম চালু করেন। যাতে বাড়তি ২ টাকা সঠিকভাবে নিতে পারেন। আমাকে প্রতি টোকেনে ২০ টাকা দিয়ে বাকি ২ টাকা হলের কর্মচারী নিয়ে প্রভোস্টের কাছে জমা দেবে বলে শুনেছি।

এভাবে কত টাকা দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সাড়ে এগার হাজার টাকা হল কর্মচারীদের দিলেও আমাকে কোনো রশিদ দেয়া হয়নি।

শাহপরান হলের কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম চৌধুরী ও উচ্চমান সহকারী বদরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টি নিয়ে প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

শাহপরান হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক শাহেদুল হোসাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান।

পরে উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা এখন ২ টাকা নিয়ে রাজনীতি শুরু করবেন, তাই না?’ বিষয়টি হলের সহকারী প্রভোস্টরা জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদেরও জানা না জানার একটা সীমা আছে। যে দুই টাকা নেয়া হচ্ছে সেটা দিয়ে পরবর্তীতে মিলের মান বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

তবে ডাইনিংয়ের মিলের টাকা সহকারী প্রভোস্টদের না জানিয়ে এভাবে রশিদ ছাড়া আদায় করা হচ্ছে কেন- এমন প্রশ্নের কোনো সদোত্তর দিতে পারেননি প্রভোস্ট। সূত্র: যুগান্তর

টিআর/ ০২ ডিসেম্বর ২০১৭