উচ্চ শিক্ষার প্রচলিত ধারা পরিবর্তন করতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2017-10-03 16:24:56 BdST | Updated: 2024-05-19 13:02:09 BdST

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, উচ্চশিক্ষার প্রচলিত ধারা পরিবর্তন করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় মানে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা, নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা। এ ধারায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে মানবসম্পদে রূপান্তর করা প্রয়োজন।

সোমবার (০২ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) অডিটোরিয়ামে ইউনিভার্সিটির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার লক্ষ্য নিয়ে যারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাদের সরকার সহযোগিতা করে যাবে। কিন্তু মুনাফার লোভে যারা বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন, তাদের থাকতে দিব না। নিজস্ব ক্যাম্পাসসহ সকল শর্ত পূরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শর্ত পূরণের দিকে এগিয়ে গেছে। এক-তৃতীয়াংশ বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়েছে। আরো অর্ধেকের বেশি বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় আছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য উচ্চ শিক্ষা নয়। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। উচ্চশিক্ষায় সেই বিষয়গুলোতে জোর দিতে হবে, যেগুলোর মাধ্যমে বাস্তবে কাজ করা যায়। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে শতকরা ১৪ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা পড়াশুনা করছে। ২০২০ সালে এটা শতকরা ২০ ভাগে উন্নীত করা হবে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রায় সকল শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিশুকে বিনামূল্যে বই দেয়া হচ্ছে। শতকরা ৪০ ভাগ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। এরমধ্যে ৩০ ভাগ মেয়ে এবং ১০ ভাগ ছেলে। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষায় ছেলেমেয়েদের মধ্যে সমতা অর্জিত হয়েছে। মেয়েরা শিক্ষায় ভাল করছে।

বিশ্বমানের দক্ষতাসম্পন্ন দেশপ্রেমে উজ্জীবিত জনগনের প্রতি দায়বদ্ধ ভাল মানুষ তৈরি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, সংসদ সদস্য ও ইউল্যাবের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, ইউল্যাবের ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং উপাচার্য ড. এইচ এম জহিরুল হক বক্তব্য রাখেন।

আইআর/ ০৩ অক্টোবর ২০১৭