ঢাবি অধ্যাপক আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা


ঢাবি টাইমস | Published: 2017-11-24 06:16:19 BdST | Updated: 2024-05-20 03:54:27 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মাদারীপুর মুখ্য বিচারিক আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেনের আদালতে মামলাটি করা হয়। বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে শুনানি কবে হবে, বিচারক তা জানাবেন আগামী রোববার।

চট্টগ্রাম বন্দরে ‘লস্কর’ পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় মন্ত্রীর চাচাতো ভাই মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য খান ফারুক এ মামলা করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৮ নভেম্বর অধ্যাপক আসিফ নজরুল তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘লস্কর’ নিয়োগ নিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে বলা হয়, ‘লস্কর’ নিয়োগে ৯২ জনের মধ্যে ৯০ জনই মাদারীপুর জেলার। এ স্ট্যাটাসে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে মামলা করা হলে আদালত বিষয়টিকে আমলে নিয়ে মামলা অন্তর্ভুক্ত করেন।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ওবায়দুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নৌপরিবহনমন্ত্রীকে নিয়ে যে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি দাবি করেন, মোট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৮৫ জন। যার মধ্যে মাদারীপুর জেলার মাত্র আটজন। অথচ আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুল তাঁর ব্যক্তিগত আইডিতে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে খান ফারুক বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।

এর আগে অধ্যাপক আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় সৈয়দ আসাদ-উজ-জামান নামের এক ব্যক্তি ২১ নভেম্বর মামলা করতে গেলে আদালত তা আমলে না নিয়ে প্রত্যাহার করেন।

এর আগে সংসদে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘লস্কর’ পদে নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও অনুরোধে অনেকের চাকরি হওয়ার কথা স্বীকার করেন শাজাহান খান। মন্ত্রী ও সাংসদদের অনুরোধে চাকরি হওয়ার উদাহরণও দেন তিনি। ‘লস্কর’ পদে অনিয়ম নিয়ে গত রোববার সংসদে দেওয়া দুই সাংসদের তথ্য অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেন তিনি। গত সোমবার ৩০০ বিধিতে (স্পিকারের অনুমতি নিয়ে জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্ত্রীর বিবৃতি) সংসদে দেওয়া বক্তব্যে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিধান ও কোটা অনুসরণ করে ‘লস্কর’ পদে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জাসদের সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদল এবং জাতীয় পার্টির সাংসদ জিয়াউদ্দিন আহমেদকে তাঁদের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলেন তিনি। গত রোববার ওই দুই সাংসদ ‘লস্কর’ পদে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের রশি বাঁধা ও পাহারা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত কর্মী ‘লস্কর’ নামে পরিচিত।

এমএসএল/ ২৪ নভেম্বর ২০১৭