পৃথিবীর অদ্ভুত একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আইসল্যান্ডের বিফ্রস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।
এটি এমন একটি উপত্যকায় অবস্থিত যেখানে গ্রাব্রক আগ্নেয়গিরি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দ্রুত হেঁটে গেলে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৪০ মিনিটের মধ্যে এর চূড়ায় উঠে আবার নেমে আসতে পারেন।
এই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখও সেখানে অবস্থিত যা দেখতে সেখানে দর্শনার্থীরাও যেতে পারেন।
ব্যবসা, আইন ও সমাজ বিজ্ঞান পড়ার জন্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচিত। এটি রাজধানী থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে।
সবচেয়ে উঁচুতে
চিলির আতাকামা বিশ্ববিদ্যালয় ওজোস ডেল সালাদো আগ্নেয়গিরির ওপর একটি গবেষণাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এটি ৫,১০০ মিটার উঁচুতে। আর্জেন্টিনা সীমান্তের কাছে।
যদি প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে এই পৃথিবীতে এটিই হবে সবচেয়ে উঁচু জায়গায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়।
আগ্নেয়গিরিটি একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ফলে ভূতত্ব, জ্যোতির্বিদ্যা এসব বিষয়ে পড়াশোনার জন্যে এটি হবে আদর্শ একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
এখানে সবশেষ অগ্নুৎপাত হয়েছিল ৭০০ খ্রিস্টাব্দে।
১৯৯৩ সালেও এখান থেকে গ্যাস ও ছাই নির্গত হয়েছে।
বর্তমানে সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি নেপালে। নাম পিরামিড ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরি। কিন্তু চিলির গবেষণাগারটি হবে এর চেয়েও ৫০ মিটার উঁচুতে।