খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ল


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2020-09-15 21:04:58 BdST | Updated: 2024-04-27 20:38:52 BdST

বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, খালেদা জিয়ার পরিবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল। কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আবেদনে অনুমোদন দেন। তবে খালেদা জিয়ার আরও ৬ মাস মুক্তির ক্ষেত্রে আগে যেসব শর্ত ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। করোনার কারণে গত ছয় মাস খালেদা জিয়ার পরিবার তাঁর কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এই বিবেচনায় তাঁর মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়। শর্ত হচ্ছে-খালেদা জিয়া এই সময়ে বিদেশে যেতে পারবেন না। বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। আজ প্রধানমন্ত্রী এই আবেদন অনুমোদন দেয়ায় আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ছয় মাসের জন্য মুক্ত জীবন যাপন করবেন খালেদা জিয়া।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপাসন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। পরে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে গত ২৫ মার্চ ৬ মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তার এই মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হতে যাচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই শামীম এস্কেন্দার গত মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেন। এর আগে নির্বাহী আদেশে মুক্তির সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েছিল। এবারও যথারীতি মতামত চাইলে সম্মতি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

২০০৮ সালের জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলায় ২০১৮ সালে নিম্ন আদালতে পাঁচ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। পরে হাইকোর্ট থেকে সাজা আরো বেড়ে হয় ১০ বছর। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত হলে মুক্তি পান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সাময়িক মুক্তিকালীন সময়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে সম্মতি দেয়নি আইন মন্ত্রণালয়।