ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বরখাস্তের সুপারিশ


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2017-08-10 16:35:56 BdST | Updated: 2024-05-15 17:22:23 BdST

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। কমিটির সদস্যরা রেজিস্ট্রার শাহুল আফজালকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তসহ প্রতিবেদনে দুটি সুপারিশ করেছেন। বুধবার (০৯ আগস্ট) রাতে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

প্রতিবেদনে প্রথম সুপারিশে বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার কোনো ব্যক্তি বিশেষকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটক করে রাখাতে পারেন না। তিনি আইন বিভাগের শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদের ওপর আগ্রাসী ও উস্কানিমূলক শব্দ উচ্চারণ করে তাকে রুমে আটকে রাখেন। রেজিস্ট্রার নিজে অথবা অন্য ব্যক্তিকে আদেশ প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষককে অবৈধভাবে আটকে রাখার আইনগত অধিকার রাখেন না, সেহেতু আমরা তার পদত্যাগের সুপারিশ করছি। প্রয়োজনে তাকে আইন প্রয়োগ করে অব্যাহতি প্রদান করা যেতে পারে।

দ্বিতীয় সুপারিশে বলা হয়, শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদের অব্যাহতি বা স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত বিষয়াদির সমাধানে একাডেমিক গবেষণা, শিক্ষকতা-মূল্যায়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দায়িত্ব পালন, সামাজিক দায়িত্ব পালন এবং আত্মবিকাশের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন।

এ ছাড়া নিয়োগপত্রের ৭নং অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে এবং প্রফেশনাল ডেভেলাপমেন্ট সেন্টারের (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন) মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে তাকে (ফারহান উদ্দিন আহমেদ) অব্যাহতি প্রদান না করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা ও নির্দেশনাবলিতেও পরিবর্তনের জন্য কিছু সুপারিশ করেছে। দীর্ঘমেয়াদি প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা পরিবর্তনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে যথা সময়ে তা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তদন্ত প্রতিবেদনে প্রসঙ্গে শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, আমি দুইবার চাওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে প্রতিবেদন কপি প্রদান করেনি।

প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়টি বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে শুনেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিটির প্রথম সুপারিশ যথাযথ থাকলেও কী কারণে আমার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।

দ্বিতীয় সুপারিশ নিয়ে তিনি বলেন, এটি কী আইওয়াশ নাকি সঠিক বিচার তা বোঝা যাচ্ছে না। কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হাতে পেলে গণমাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম ইউসূফ হায়দার ও অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলামসহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট পুনর্গঠিত এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফসান চৌধুরী, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট তাজদিন হাসান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মাইমুনা সৈয়দ আহমেদ।

গত ৩ আগস্ট থেকে পুনর্গঠিত এ তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেন। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে তারা এ প্রতিবেদন জমা দেন।

এমএন/ ১০ আগস্ট ২০১৭