সাংবাদিককে 'থাপড়াবেন' বললেন কুবি প্রক্টর


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় | Published: 2017-08-10 02:17:18 BdST | Updated: 2024-05-19 12:03:32 BdST

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বুধবার দুপুরে দুই শিক্ষার্থীকে শিবির বলে মারধর করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ওই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী কামাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে এক পর্যায় সাংবাদিককে 'থাপড়িয়ে' দাঁত ফেলে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

জানা যায়, সিলেটে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে শিবির বিরোধী বিক্ষোভ করে কুবি শাখা ছাত্রলীগ। বিক্ষোভ শেষে গণিত ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমানকে বাস থেকে নামিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে চায়ের দোকানের পাশে নিয়ে আসে ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে তাকে বেধড়ক পিটাতে থাকে তারা। এ সময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।

মারধরের ঘটনার পরে ওই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঘটনাস্থলে আসে প্রক্টর মো. কাজী কামাল ও সহকারী প্রক্টর খলিলুর রহমান। এ সময় তারা অনেকটাই নির্বাক থাকেন। পরে আহত আব্দুর রহমানকে সিএনজিতে করে পাঠিয়ে দেয় প্রক্টর। এ ঘটনার ঠিক পরপরই ইংরেজি বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলামকে সামাজিক বন বিভাগে শিবির বলে মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। তবে যাদের মারা হয়েছে তারা কেউই শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে সাংবাদিকদের জানান ভুক্তভোগীরা।

কেন তাদের মারা হল এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিবির নামধারী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাশকতা করবে তাদের বিষয়ে ছাত্রলীগ কঠোর অবস্থান নিবে।'

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মাদ কামাল উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি সকালের খবরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ও সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে 'থাপড়িয়ে' দাঁত ফেলে দেওয়ার কথা বলেন। তিনি ওই সাংবাদিককে 'বেয়াদোব' বলে ধমকিয়ে বলেন, 'আমার বক্তব্যের বাইরে নিউজ লিখবা না।'

 

এমএসএল