ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে বেরোবিতে আরও দুইজন আটক


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2017-12-19 07:03:42 BdST | Updated: 2024-05-20 18:49:54 BdST

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে আরও দু’জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় তাদের আটক করা হয়। এ দু’জন হলেন ভর্তিচ্ছু মাহফুজুল হাসান ও তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান। তারা নাটোরের আটঘরিয়া উপজেলার নাগডাহা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড.শফিক আশরাফ দু’জনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসময় ভর্তি হতে আসেন মাহফুজুল। কিন্তু কাগজ ও স্বাক্ষরের মিল না থাকায় তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তিনি জানান, প্রক্সির মাধ্যমে তিনি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরে তার কথা মতো প্রক্সির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত বড় ভাই মাহমুদুলকে আটক করে পুলিশ। এরপর দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান, জালিয়াতির মূল হোতা পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তুহিন ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। তখন তাকে আটকের চেষ্টা করলেও অবস্থা বুঝতে পেরে তুহিন সটকে পড়েন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শফিক আশরাফ বলেন, মাহফুজুল ব্যাংক ড্রাফটও করেছিলেন। কিন্তু ভর্তির সময় তার কাগজ ও স্বাক্ষরের মিল না থাকায় তাকে আটক করা হয়। পরে তিনি লিখিত স্বীকারোক্তি দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহিব্বুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। দু’জনের দেওয়া তথ্য মতে মূল হোতাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

এর আগে, রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ভর্তির সাক্ষাৎকার চলাকালে প্রক্সি পরীক্ষার দায়ে বিভিন্ন ইউনিটের ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় মেহেদি হাসান সজল ও মোস্তফা বিন ইসমাইল নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।

এমএস/ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭