ঢাবির ২৬৩ শিক্ষার্থীকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা উপহার ছাত্র অধিকার পরিষদের


ঢাবি টাইমস | Published: 2020-05-08 23:01:02 BdST | Updated: 2024-05-19 20:51:17 BdST

করোনা মহামারীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ঢাবির ২৬৩ জন শিক্ষার্থীকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার আর্থিক উপহার প্রদান করা হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা টিউশনি করে নিজে চলার পাশাপাশি পরিবারকেও সাপোর্ট দিতো। এ করোনা ভাইরাসের কারণে তারা আর্থিক অনটনে পড়ে যায়। সে বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছিলাম সেখানে অসংখ্য শিক্ষার্থী সহযোগিতার আবেদন করেছে। আমরা তাদের মধ্য থেকে এখনো পর্যন্ত ২৬৩ জন শিক্ষার্থীকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা সহযোগিতা করেছি। আমরা আরও কিছু শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাছাড়াও আমাদের সারাদেশেই ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি চালু রয়েছে।

এ বিষয়ে সংগঠনটির যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খাঁন বলেন, ফান্ড গঠন করে আমরা সারাদেশে ১০০০ মধ্যবিত্ত পরিবারকে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এরমধ্যে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কর্মহীন মানুষ, ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রয়েছে। যেহেতু আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সে দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। অনেক শিক্ষার্থী আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে আমরা চেষ্টা করেছি সাথে সাথে তাদের পাশে থাকতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেকোন প্রয়োজনে আমরা আগামীতেও পাশে থাকবো।

"মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আমার সাথে সার্বক্ষণিক কাজ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ সভাপতি মোঃ নাজমুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহযোদ্ধা শা'দাত ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিরিন সুলতানা।"

ঢাবি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার বিষয়ে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা শুরু থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে আমরা ২৬৩ জন শিক্ষার্থীর পাশে থাকতে পেরেছি। ডাকসুতে ছাত্রলীগের প্যানেল শিক্ষার্থীদের মতামতকে উপেক্ষা করে তোষামোদের রাজনীতি করতে পহেলা বৈশাখের ৫৪ লক্ষ টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে না দিলে হয়তো এভাবে প্রতিনিয়ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহাজারি আমাদের শুনতে হতো না।

সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, করোনার আকস্মিতায় টিউশন হারিয়ে শিক্ষার্থীরা যখন পরিবার নিয়ে বিপদাপন্ন হয়েছে সেসময় ছাত্র অধিকার পরিষদ শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এই স্বেচ্ছা পরিশ্রমে কিছু পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি এইভাবে যেনো প্রতিটি সংকটেই শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে পারি এই কামনাই করি।