পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত কক্সবাজার সৈকত


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2018-06-20 19:04:48 BdST | Updated: 2024-05-19 02:54:40 BdST

বৈরী আবহওয়া উপেক্ষা করে ঈদের পর দিন থেকে জমে উঠেছে কক্সবাজারের পর্যটন। সৈকত দর্শনে নেমেছে পর্যটকের ঢল। পর্যটকদের পদচারণায় মুখর এখন কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ঈদের ছুটি আর নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতায় অবসন্ন দেহ-মনকে সমুদ্র স্নানে সতেজ করতে ছুটে এসেছেন এসব পর্যটক।

এখানকার সব হোটেল-মোটেলই এখন পর্যটকে ভরপুর। বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো সাজানো হয়েছে নানা ভাবে। বৃষ্টির মাঝেই ভাললাগাকে তুলে ধরতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। আর পর্যটকদের আগমনে খুশি ব্যবসায়ীরা। আগত পর্যটকদের জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।

জানা গেছে, প্রতি বছর রমজানের ঈদের পর দিন থেকে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প জমে ওঠে। দেশ-বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসে কক্সবাজারে।

রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক দম্পতি রফিক আর মৌরি বলেন, আমরা মনে করছিলাম বৃষ্টির কারণে আনন্দ করতে পারব না। কিন্তু এখানে এসে দেখি খুবই চমৎকার আবহাওয়া।

খুলনা থেকে আসা পর্যটক রাহুল বলেন, প্রথম দিন একটু বৃষ্টি আসলেও এখন পরিবেশ খুব ভালো।

সিলেট থেকে আসা সাদেকুর রহমান সাকি বলেন, আমরা ৫ পরিবার এক সাথে কক্সবাজার এলাম। আমরা খুবই আনন্দ উপভোগ করছি।

ঈদের পর দেশ-বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসছে কক্সবাজারে। সে হিসেবে এবারও ভালো বুকিং পেয়েছে কক্সবাজারের হোটেল মোটেলগুলো।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রথমে বুকিং বাতিল হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় আর কোন হোটেলের বুকিং বাতিল হয়নি। সব হোটেলে গেস্ট বয়েছে।

হোটেল দ্যা কক্সটুডের এজি এম আবু তালেব শাহ জানান, ঈদের পর দিন থেকে পর্যটকরা আসে। কোন বুকিং বাতিল হয়নি। সব গেষ্ট এসেছে এবং ব্যবসা ও ভালো হচ্ছে।

কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্র বিশেষ করে হিমছড়ি, ইনানীকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। মহেশখালীর আদিনাথ জেটিতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক পর্যটক ভিড় করছে। পর্যটন ব্যবসায়ী ও দরিয়া নগর পর্যটন গ্রুপের চেয়ারম্যান এম সায়েম ডালিম জানান: দরিয়া নগরে শিশুদের জন্য বেশ কিছু রাইড চালু করার পর ঈদের পর দিন থেকে শিশুদের আগমন বেড়ে গেছে। শিশুরা খুবই আনন্দের মাধ্যমে সময় পার করছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশেষ বিশেষ স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। জেলা পুলিশের পাশপাশি পর্যটন স্পটগুলোতে দায়িত্ব পালন করছে টুরিস্ট পুলিশের সদস্যর।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বলেন, ঈদের পরদিন থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল টিম চালু রাখা হয়েছে। যাতে কোন পর্যটক হয়রানির শিকার না হয়। কোন হোটেলে ভাড়া বেশি নিলে সাথে সাথে মোবাইল টিম গিয়ে সেখানে ব্যবস্থা নেবে। ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজ করছে ২৪ ঘন্টা।

টিআই/ ২০ জুন ২০১৮