সমাবর্তন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যা করতে পারেন


Dhaka University Times | Published: 2018-10-03 08:53:20 BdST | Updated: 2024-05-21 02:01:37 BdST

সিজিপিএ ২.৫০ থেকে শুরু করে ৪, সবাই সমাবর্তন নেয়। সমাবর্তনের পরের চ্যাপ্টার সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরির বাজারে প্রবেশই বলা যায়। সমাবর্তন শেষে কেউ উচ্চ সিজিপিএ নিয়ে শিক্ষকতায় যোগ দিবেন, যাদের ধ্যান-জ্ঞান বিসিএস তারা সেদিকে যাবেন-কিন্তু যারা খুব সাধারণ তারা কি করবেন! আপনার জন্য চাকরি বসে নেই, আপনি কিংব আমি এমন কেউ না যে কোথাও সিভি জমা দিলেই চাকরির ডাক পড়বে। সবার আসলে এই সময়টায় একটা স্ট্রাগল টাইম চলে। হতাশা না কাটাতে চাইলেও আশপাশে এসে আপনাকে বিরক্ত করবেই।

ওমুকের ভালো চাকরি, মা-বাবার কাছ থেকে ভালো চাকরির প্রত্যাশা, দিনের পর দিন ইন্টারভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করা-পুরো সময়টাই অনেক ক্ষেত্রে নিজেকে নিয়ে বিরক্ত থাকি আমরা। পারি না কষ্টের কথা কাউকে বলতে, কাউকে শেয়ার করতে-দ্বিধার মধ্যেই হতাশার মাত্রা বেড়ে যায় আমাদের। যারা এমন সংকটে ভুগছেন তাদের এই পোস্টটা কাজে দিতে পারে।

যে বিষয়ে পড়ছেন তার বাইরে চাকরির খোঁজ করুন

ধরুন, আপনি পড়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে। সমাবর্তন শেষে কিংবা গ্র্যাজুয়েশনের পরে এনজিওগুলোতে প্রথমে আবেদন করবেন, এরসঙ্গে ব্যাংক আর বিসিএস। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কিংবা ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বা জেন্ডার স্টাডিজ পড়া শেষে এনজিওগুলোতেই চাকরির আবেদন করি আমরা। নিজের ক্ষেত্র বাড়াতে অন্য দুনিয়ার চাকরির খোঁজ করুন। বিক্যাশ বলেন কিংবা অ্যাপোলো হাসপাতাল বলেন, নানান জায়গায় কমিউনিকেশন কিংবা কমিউনিটি সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্টে নতুনদের নিয়োগ করা হয়। সেসব ক্ষেত্রে আবেদন করুন। যে বিষয়ে পড়ছেন সেই ট্র্যাকেই যে চাকরি করবেন সেটা ফিক্সড ভাবা ঠিক না।

বিডিজবসের বাইরেও চোখ দিন

বিডিজবস কিংবা অন্যান্য বড় চাকরির পোর্টালগুলোতে আমরা চোখ রাখি। এর বাইরে বড় বড় প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি, ব্র্যাক, গ্রামীণছাড়াও আপনি যে ট্র্যাকের লোক তার ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। অনেক চাকরির বিজ্ঞাপন হয়তো যে যার ওয়েবে প্রকাশ করে, কিন্তু বিডিজবসে বা চাকরি ডট কমে হয়তো প্রকাশিত হয় না।

সিভি তৈরি করুন

ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড সিভি তৈরি করুন। অন্যের সিভি কপি করার চেয়ে, সিনোনিম মেরে হলেও নিজের সিভি তৈরি করুন। আরেকটা বিষয়, কভার লেটার বিষয়টা এখন অনেকেই সিরিয়াসলি নেন না। একই কভার লেটার কপি-পেস্টে মেরে দেন। এটা করা ঠিক না।

নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করুন

মনে রাখা উচিত, কেউ কখনও চাকরি নিয়ে বসে থাকে না। আমরা খুব নিয়মিত, নেটওয়ার্কের লোকজনকে ভাই একটা চাকরি দিয়েন বলে রিকোয়েস্ট করি। এটা পেশাগত ভাষা না। আপনি আপনার নেটওয়ার্কে যারা প্রভাবশালী তারা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন তার ফেসবুক কিংবা ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন নিয়মিত। সেখান থেকে চাকরির সন্ধান পাবেন অনেক।

লিংকডইন ব্যবহার করুন

বাংলাদেশে লিংকডইনকে তেমন সবার সামনে দেখা যায় না। কিন্তু গ্রামীণফোন, রবি কিংবা ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোবাকোর রিক্রুটমেন্টের বড় একটা টুলস এখন লিংকড ইন। একটা স্ট্যান্ডার্ড লিংকডইন প্রোফাইল তৈরি করুন।

“উদ্যোক্তা হবেন যারা, তারাও চাকরি করুন”

যারা উদ্যোক্তা কিংবা নিজের কিছু করতে চান তারাও কিছু দিন চাকরি করে নিজের স্কিল ভারী করার চেষ্টা করুন। স্যার ফজলে হাসান আবেদের নানান লেখায়, শিক্ষার্থীদের প্রথমে চাকরি তারপরে নিজের কিছু করার গুরুত্বের প্রমান পাওয়া যায়।

স্কিল শক্ত করুন

ইংরেজি-বাংলায় কথা বলা, মানে কমিউনিকেশনের যদি জড়তা থাকে তা দূর করার চেষ্টা করুন। ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও থেকে শেখার চেষ্টা করুন। যে লাইনে চাকরি করতে চান তার বর্তমানে কি কি স্কিল লাগে তা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখুন। মাইক্রোসফট এক্সেল, এসপিএসএস, ফটোশপ কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসে কনটেন্ট আপলোড বিষয়গুলো এখন খুবই কমন স্কিল।

হতাশা কাটানোর চেয়ে এড়ানো ভালো

গ্র্যাজুয়েশনের পরের সময়টা খুবই হতাশার মধ্যে যায় অনেকের। বন্ধুদের ভালো চাকরির খবরে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। চেষ্টা করুন এসময়টায় নিজেকে গোছানোর জন্য কি কি করা যেতে পারে তার পেছনে। কিছু ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বই পড়তে পারেন।