বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বন্ধুদের যেসব ব্যবহারে বিরক্ত সবাই


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2018-05-10 04:48:07 BdST | Updated: 2024-05-21 00:34:19 BdST

১) আপনি কারো প্রক্সি দেওয়ার সময় সে অদ্ভুত কোন শব্দ বা ইচ্ছাকৃত কাশি দিবে।
আর এতে স্যার সন্দেহের দৃষ্টিতে আপনার দিকে তাকাবে। আপনার আত্মা শুকিয়ে কাঠ ততক্ষণে।
আর এতেই ওদের শান্তি।

২) এস্যাইনমেন্ট চাইলে, এই ক্যাটাগরি বলবে।।দোস্ত আর অল্প একটু বাকি রে। একটু লিখে নেই? পড়েই দিব তোকে।।
জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত এদের আর এই বাকি টুকু লিখা হয় না।।

৩) এক্সামের শীট চাইতে গেলে, দোস্ত শীট ত তেমন নাই রে।। যা আছে তুই নিস।।তবে একটু গুছিয়ে নেই।।
এই গোছানো আর শেষ হয় না।

৪)এরা এক্সামের আগের রাতে স্ট্যাটাস দিবে, ওয়াচিং অমুক মুভি।।
বাল ডাও কিন্তু দেখে না এরা। ঠিক ই ধুমাইয়া পড়ে। যাতে রেজাল্ট ভাল করার পর আমরা তাকে ব্রিলিয়ান্ট ভাবতে পারি।
পরীক্ষার আগের রাতে মুভি দেখেও এত্ত ভাল রেজাল্ট করলি তুই!!

৫) এরা এক্সামের আগের রাতে সারাক্ষন মোবাইল ডাটা অন রাখে। যাতে আমরা বুঝি ও পড়া বাদ দিয়ে চ্যাটিং, ইউটিউবিং এ ব্যস্ত।।।
তাইলে আমি পড়ি ক্যান? যাহ্,পড়া বাদ।।যা আছে কপালে।। আমরাও নেট এ ঢুকি।। আসলে সে কিন্তু কুপাইয়া পড়তেছে। ভাল রেজাল্ট হলে বলে বেড়াবে আমি ত পড়ি ই না।।

৬) এরা এক্সামের আগের রাতে হুদাই ফোন দিয়ে হা হুতাশ করবে, দোস্ত কিচ্ছু পড়ি নাই, পাড়ি না। পড়া কিন্তু তার শেষ সব।
বাট এতে আপনার মনে একটা মানুষিক শান্তি আসবে। বন্ধুও ত পড়ে না কিছু।
আমি না পড়লেও সমস্যা নাই

৭) আপনি ক্লাসে সিট পাচ্ছেন না, অথচ আপনার পাশের জন চেয়ারে খাতা রেখে তার বেস্টির জন্য যায়গা রেখে দিছে।। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রজাতি মেয়ে হয়। কিচ্ছু বলাও যায় না এদের।।

৮) ওকে তাহলে ক্লাস আজকের মত এখানেই শেষ।।
এই প্রজাতি তখন দাঁড়িয়ে, I have a question sir?
আবার বোরিং ক্লাস শুরু। প্রতি ক্লাসেই এমন আত্তেল থাকবেই।

৯) দোস্ত চল রিকশা নেই।
দুজনে রিক্সা নিলেন।। আর সে তার নির্ধারিত গন্তব্যের আগেই নেমে যাবে, আর বলবে দোস্ত, ভাড়া টা দিয়ে দিস।। আমার কাছে ভাংতি নাই।।
পরে দিমু নে তোরে। এই পরের আশায় থাকলে আপনার নিজের ই পরপারে যাবার সময় হয়ে যাবে।

১০) দোস্ত, এক্সট্রা কলম থাকলে দে তো।।
আমার টা আনতে ভুলে গেছি।।
আপনার এই দেওয়াই হবে সম্প্রদান কারকের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

১১) এরা সারাবছর আপনার খোজ নিবে না।।
এক্সামের আগে ফোন দিবে, কই তুই?
রুমে। নিচে নাম বেডা, নাস্তা টাস্তা করি।
অ্যান্ড ফাইনালি, দোস্ত শীট টিট কিছু আছে রে?

এভাবেই এগিয়ে চলে আমাদের দোস্ত-দুষমন খেলা।।

লিখেছেনঃ মেহেরুল হাসান আকাশ/বিদিবিএস