ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থী সেতু হত্যায় মেজবাউলের যাবজ্জীবন


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2017-12-31 23:10:09 BdST | Updated: 2024-05-20 08:25:49 BdST

সাড়ে চার বছর আগে ঢাকার ড্যাফোডিল ইউনিভাসির্টির শিক্ষার্থী সেতু সরকারকে হত্যার ঘটনায় এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেজবাউল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রোববার (৩১ ডিসেম্বর) আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এর মধ্যে হত্যার ঘটনায় একটি ধারায় ২৫ বছর বয়সী মেজবাউলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আরেকটি ধারায় ওই তরুণকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

আর সেতুকে বলাৎকারের ঘটনায় মেজবাউলকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ আদালতের বিশেষ প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মেজবাউলের সব কারাদণ্ড একসঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাকে কেবল যাবজ্জীবন সাজা খাটতে হবে। তবে জরিমানাগুলো সবগুলোই আলদাভাবে প্রযোজ্য হবে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ অগাস্ট হাজারীবাগের তল্লাবাগের একটি মেস বাড়িতে সেতু সরকারকে ‘অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের’ প্রস্তাব দেয় মেজবাউল।

ওই প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানালে সেতুকে বলাৎকার শেষে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন মেজবাউল। সে সময় সেতুর বন্ধু পুনম কুণ্ডু বাধা দিলে তাকেও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তিনি।

ঘটনার পরদিন সেতুর কাকা রতন কুমার সরকার হাজারীবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ জনের সাক্ষ্য শোনেন বিচারক।

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন সেতু। তার বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটার পূর্ব রাঘবপুর গ্রামে।

আর মেজবাউল আলমের বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার তলবরশিদ গ্রামে।

এসজে/ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭