প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত জবি ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2018-03-12 14:18:23 BdST | Updated: 2024-05-20 21:01:25 BdST

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ভর্তি জালিয়াতিচক্রের আরও চারজনের নামে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (১১ মার্চ) বিকেলে কোতয়ালী থানায় তাদের নামে মামলা করে দুইজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের মো. অরিফ আলমাস আকাশ ও ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান। বাকি দুজন পলাতক।

ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. সাইদুর রহমান বাদী হয়ে পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা করে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, নতুন ভর্তি হওয়া মো. অরিফ আলমাস আকাশের ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে এবং ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হবে।

জানা যায়, তিন লাখ টাকা লেনদেনে প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তির অভিযোগে প্রশাসন প্রথমে মো. অরিফ আলমাস আকাশ নামের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে। তিনি জবির ২০১৭-১৮ সেশনে (মেধাক্রম: ০৭) ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড করার সময় একাডেমিক শাখা ও আইটি শাখায় তার ছবির অমিল পাওয়ায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সির সত্যতা পাওয়া যায়।

জবি ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

 

জিজ্ঞাসাবাদে আলমাস জালিয়াতিচক্রের সদস্যদের নাম জানান। এ চক্রের সদস্যরা হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান। অপর দুজন হলেন- সাইফুল ইসলাম এবং আকিব বিন বারী। অভিযুক্ত আকিব বিন বারী জবি ছাত্রলীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে। তিনি ২০১৫ সালে জবির ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত হন।

আকিব বিন বারীর বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে ভর্তি জালিয়াতের অভিযোগ ছিল এবং সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল। যেহেতু কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে হয়েছে তাই আমি এবং সভাপতি তরিকুল ইসলাম কেন্দ্রীয় সভাপতি-সেক্রেটারির কাছে তাকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করব।

এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।

টিআই/ ১২ মার্চ ২০১৮