খলিলুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী যশোর বোর্ডে এইসএসসিতে ইংরেজী পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ‘ডি’ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ, সেই শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৭-১৮ সেশনে ভর্তি পরীক্ষার জালিয়াতি করে আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অর্জন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের (বি ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। খলিলুর ইংরেজী লিখিত পরীক্ষায় ১০ মার্কসের মধ্যে ৭ মার্কস পাওয়ায় ভাইভা বোর্ডে শিক্ষকদের সন্দেহ হয়। এসময় তার পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখার সাথে বর্তমান হাতের লেখার সাথে মিল না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদে তার কথা-বার্তা ও আচারণে শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয় যে, তার স্থলে জালিয়াতি চক্রের একজন সদস্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ডীন্স কমপ্লেক্স থেকে প্রক্টর দপ্তরের মাধ্যমে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃত খলিলুর রহমানের বাড়ি যশোর জেলার সদরের কোতয়ালী এলাকায় তোফায়েল আহমেদের ছেলে। ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী ছিল। সে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় ১৬তম স্থান অধিকার করে। তার ভর্তি পরীক্ষার রোল ছিল ‘বি ২০০৩২’।
জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকলকে ভাইভার জন্য আজ মঙ্গলবার ডাকা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডীন আবু নাসের মো. ওয়াহিদ বলেন, তার এইসএসসির ফলাফল ও ভর্তি পরীক্ষার খাতার সাথে তার হাতের লেখার মিল না থাকায় ভাইভা বোর্ড তাকে সন্দেহ করে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। আমরা তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রক্টর দপ্তরে হস্তান্তর করি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান ক্যাম্পাস টাইমসকে বলেন, আইন অনুষদের ভাইভা দিতে আসা একজন শিক্ষার্থীকে সন্দেহ হলে অনুষদের ডীন মহোদয় প্রক্টর দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়। পরে তার জালিয়াতির বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছি।
আরএম/ ১৫ নভেম্বর ২০১৭
