চবিতে ভর্তির আগে ডোপ টেস্ট


CU Correspondent | Published: 2024-05-06 20:53:32 BdST | Updated: 2024-05-19 12:47:13 BdST

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির আগে 'ডোপ টেস্ট' দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও এই ডোপ টেস্ট করে মেডিকেল সেন্টার থেকে পরামর্শ নিতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলা।

'মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই'—মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে চবির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এছাড়া সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স 'ঘোষণার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের চবিতে চূড়ান্ত ভর্তির আগে ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, ' বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে মাদকের আড্ডার কথা জানতে পারছি। এছাড়া ক্যাম্পাসে মাদকের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। কেউ হলে কিংবা বিভিন্ন স্থানে মাদক গ্রহণ করছে বলে আমরা জানতে পারছি। তাই আমরা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি নতুন ভর্তিচ্ছুদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে আমরা ভর্তি করাব। আর যদি টেস্ট পজিটিভ আসে তাহলে তারা ভর্তি হতে পারবে না।'

চবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের বলেন, 'মাদক আমাদের সমাজ, পরিবার ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। তাই আমরা এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

উপাচার্য বলেন, 'এই প্রক্রিয়া শুরু করতে আমরা চমেক হাসপাতালের মেডিসিনের ডিনের সঙ্গে কথা বলেছি। কে এই খরচ বহন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আমরা একটি সীমা—২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা—নির্ধারণ করার চেষ্টা করছি।'

সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলা বলেন, 'আমরা দেশের স্বার্থে এই উদ্যোগ নিয়েছি। পুরুষ ও নারী—সব শিক্ষার্থীকেই তাদের রক্তের বা ইউরিনের নমুনা চমেকে দিতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্ত তালিকার জন্য প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে। যদি কেউ পজিটিভ হন, তাহলে তিনি ভর্তি হতে পারবেন না।'

'শূন্য আসনের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের বেছে নেবো এবং তাদেরকেও একই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে,' তিনি যোগ করেন। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে।