হাকিম চত্বর ইতিহাসের সাথে বর্তমানের সংযোগ


ঢাবি টাইমস | Published: 2017-12-16 17:59:24 BdST | Updated: 2024-05-20 20:23:00 BdST

১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতীয় উপমহাদেশে স্বনামধন্য ও আলোক উজ্বল (ইবধপড়হ ষরমযঃ) একটি বিদ্যায়তন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে প্রায় ২৫০ একরের এক বিশাল ক্যাম্পাস। এর প্রত্যেকটি জায়গা ইতিহাসের সাথে বর্তমানের সংযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোরতে বের হলেই নজরে পরে বিভিন্ন মনোরম দৃশ্য ও ইতিহাস সমৃদ্ধ লোকেশনের।

অপরাজেয় বাংলা, কলা ভবন, মধুর ক্যান্টিন, ডাকশু, টিএসসি, স্বাধীনতা স্ককয়ার, রাজু ভাস্কর্য, স্বাধীনতা সংগ্রাম, হাকিম চত্বর, কেন্দ্রীয় গ্রšথাগার, চারু কলা অনুসদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুলের মাযার এ সবই এক একটি অতীত ইতিহাসের জীবন্ত স্মারক চিহ্ন। এ সব চত্বরে প্রতিনিয়ত একত্রিত হয় ভবিষ্যৎ অতীত ও বাধ ভাঙ্গা যৈাবনের উচ্ছাস। হাকিম চত্বর এ সব চত্বরের মধ্যে অন্যতম। কেন্দ্রীয় গ্রšথাগারের পাশেই এর অবস্থান। 

যার নামে এ চত্বরটি নামকরণ করা হয়েছে তার নাম আব্দুল হাকিম, তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় এখানে ভ্রাম্যমান দোকানদার ছিলেন। সকলের সাথেই তার সখ্য ছিল। প্রেমিক-প্রেমিকারা তার মাধ্যমেই একে অপরের নিকট চিঠি আদান-প্রদান করতেন।

শাব্দিকভাবে বিশ্লেষণ করলে হাকিম শব্দটি আরবি হিকমত শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ বিচারক, জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান। এখানে গল্প করেছেন, চা খেয়েছেন এ রকম ব্যাক্তিরাই হয়েছেন প্রধান বিচারপতি, প্রধান মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও দেশের বিভিন্ন শীর্ষ স্থানীয় পদের প্রধান, এ যেন চত্বরের নামের সাথে এক অপূর্ব মিল।

হাকিমে আড্ডা 

বর্তমানে এ চত্বরটি সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে অবসর সময় কাটানোর জন্য ব্যাপক জনপ্রীয়। এখানে রয়েছে দুটি খাবারের দোকান, প্রতিনিয়তই এখানে জমে থাকে শিক্ষার্থীদের ভীর।

জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ দিবসে এখানে আয়োজন করা হয় জমকালো নানান অনুষ্ঠানের। আলোচনা হয় দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে, কেউবা মেতে ওঠে কৌতুক, অভিনয় ও উল্লাসে। এ যেন তারুণ্যের বাধ ভাঙ্গা উল্লাস, কে দমাবে যৌবনের এ অথৈ সাগর সম উচছাস।

এদের হাত ধরেই একদিন এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, হাকিম চত্বর বর্তমানের মত ভবিষ্যতেও হয়ে থাকবে বাংলাদেশের কর্নধারদের মিলনস্থল।

 

এমএসএল