মনযোগসহকারে পড়তে হলে


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2017-12-19 02:10:51 BdST | Updated: 2024-05-20 21:27:03 BdST

দুয়ারে কড়া নাড়ছে পরীক্ষা। জমে থাকা পড়ার চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছ? কিছু কৌশল মেনে চললেই মিলবে সমাধান। লেখাটি হাউকাস্ট ও থমাস ফ্রাংকের ইউটিউব চ্যানেল অবলম্বনে। 

গ্যাজেটকে না

বারবার স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন বা ল্যাপটপের বিপবিপ আওয়াজ পড়াশোনার সময় সহজেই মনোযোগ সরিয়ে নিতে পারে। দীর্ঘপড়ার প্রস্তুতির প্রথম শর্তই এসব গ্যাজেট দূরে রাখা।

আর লেখাপড়া যদি হয় কম্পিউটারে তাহলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখতে পারো। আর যদি ব্যবহার করতেই হয় তবে ব্রাউজার এক্সটেনশন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্লক করে রাখা যেতে পারে।
বিরতি

আমাদের মস্তিষ্ক কিন্তু টানা কোনো কাজে মনোযোগ রাখতে পারে না। তাই একটানা পড়লে ক্লান্তি ঘিরে ধরবেই। সে কারণে পড়া যত ভারিই হোক নির্দিষ্ট সময় পর নিতে হবে ক্ষণিকের বিরতি। বিরতির সময় তুমি তোমার পছন্দের কোনো কাজই করবে। তবে এমন কিছু করতে যেও না, যা তোমাকে লম্বা সময়ের জন্য আটকে ফেলবে।

নানান রঙের আঁচড়

একঘেয়ে পড়াশোনা কতক্ষণই বা ভালো লাগে? তাই পড়ার সময় আনতে পারো বৈচিত্র্য। একটানা না পড়ে লিখতে পারো।

কী লিখবে? পুরো চ্যাপ্টারটা পড়ে কী বুঝেছ সেটাই। সায়েন্স একপেরিমেন্টের সুযোগ থাকলে করে দেখতে পারো। শব্দ বা সূত্র শেখার ক্ষেত্রে বানাতে পারো ফ্ল্যাশকার্ড। কখনো জোরে আওয়াজ করে, আবার কখনো শব্দ ছাড়া মনে মনে পড়তে পারো।
পুরস্কার

লক্ষ্য নির্ধারণ করো ঠিক কতটুকু কত সময়ে পড়বে। তারপর নিজেকে পরীক্ষা করে দেখো। যদি তুমি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারো, তবে পুরস্কার দাও নিজেকে। সেটা হতে পারে যেকোনো কিছু। খেতে পারো পছন্দের কোনো খাবার, কিংবা কিনতে পারো শখের কোনো জিনিস, অথবা দেখতে পারো পছন্দের টিভি সিরিজের নতুন পর্ব। এতে যেমন একদিকে তুমি প্রেরণা পাবে, পাশাপাশি ক্লান্তিও সহজে ঘিরে ধরবে না।

এমএসএল