টিন টিন প্রেম, ইহা প্রেম নয় নিজের ক্ষতি


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2018-03-25 06:19:14 BdST | Updated: 2024-05-20 21:50:57 BdST

প্রেম বা ভালোবাসার তিনটি মূল উপাদান—অন্তরঙ্গতা (ইন্টিমেসি), উচ্ছ্বাস (প্যাশন) আর দায়বদ্ধতার (কমিটমেন্ট) কোনো কোনোটি তাদের মধ্যে তৈরি হয়। হরমোন ও নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর প্রভাবে দুজন টিনএজার বা কিশোর-কিশোরীর মধ্যে জন্ম নেয় পরস্পরের প্রতি তীব্র টান। এই টান যে সব সময় প্রেমে পরিণত হয় তা নয়, অনেক সময় দেখা যায় উচ্ছ্বাসের কারণে অন্তরঙ্গতা বাড়ছে কিন্তু পরস্পরের মধ্যে কোনো দায়বদ্ধতা নেই; ফলে তা সত্যিকারের প্রেমে পরিণত হতে পারে না। নিছক ভালো লাগা, ক্র্যাশ খাওয়া বা মোহ তৈরি হয়।

কম বয়সে আবেগগুলো থাকে এলোমেলো। হঠাৎ করেই একজনকে দারুণভাবে ভালো লাগতে থাকে। মনে হয় তাকে ছাড়া জীবন অর্থহীন। সব যুক্তি, বাস্তবতা আবেগের কাছে হেরে যায়। প্রেমময় আবেগ যেমন উথলে ওঠে, তেমনি ক্রোধ, হিংসা ইত্যাদি আবেগগুলোর প্রকাশভঙ্গি হয় অনেক সময় অনিয়ন্ত্রিত। তাই পছন্দের মানুষকে পুরো নিজের করে পেতে চায়। এ সময় যদি তৃতীয় কেউ পছন্দের মানুষের মনে ঠাঁই করে নেয় বা কোনো কারণে সম্পর্কটি ভেঙে যায়, তখন ক্রোধ আর হিংসা অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে।

আবেগকে সংযত করতে হবে 

টিনএজ ভালোবাসায় যদি উচ্ছ্বাস বেশি থাকে, তখন পড়ালেখাসহ দৈনন্দিন কাজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। স্কুল-কলেজে ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

এ সময় আবেগকে সামলে রাখা খুবই জরুরি। ক্রোধের বশবর্তী হয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে ভয়াবহতম সিদ্ধান্ত নিতে পারে টিনএজ মন। প্রতিপক্ষকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে বা তাকে জন্মের মত শায়েস্তা করতে গিয়ে নানা পন্থা বেছে নেয়। কখনো তৈরি করে কিশোর গ্যাং। দলবদ্ধ হয়ে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা থেকে শুরু করে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করে ফেলে! তাই এই বয়সে অবশ্যই আবেগকে সংযত করতে হবে।

বিদিবিএস